নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে মালেকা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গুতার বাজার এলাকার একটি কলা বাগান মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মালেকা বেগম উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গুতার বাজার (স্কয়ার প্রজেক্ট) সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা কাঠমিস্ত্রি বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের বড় ছেলে মানিক (১৮) জানান, তিনি শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় কারখানায় চাকরি করেন। বুধবার রাতে তার নাইট শিফটে ডিউটি ছিল। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে তার বাবা তাকে ফোন দিয়ে জানান, তার মাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে কারখানা ছুটি হলে সকাল ৯টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে তার মাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে কলা বাগানে তার মায়ের আগুনে পোড়া মরদেহ দেখতে পান।
নিহতের বাবা পাশের দক্ষিণ ধনুয়া গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ উদ্দিন জানান, বিয়ের পর থেকেই মালেকার স্বামী তাকে নির্যাতন করতো। তার মেয়ের দুই লাখ টাকা তার (বাবার) কাছে রক্ষিত ছিল। ওই টাকা এনে দেওয়ার জন্য তার স্বামী তাকে নির্যাতন করতো। বাচ্চু মিয়া আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে স্কয়ার কোম্পানির কলা বাগানের প্রজেক্টে মরদেহ রাতের কোনো এক সময় ফেলে রেখেছে।
নিহতের এক প্রতিবেশী জানান, কাঠমিস্ত্রি বাচ্চু মিয়া নারী লোভী। তিনি বাহিরের মেয়ে বাড়িতে এনে ফূর্তি করতেন। এ নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। তাছাড়া সংসারে অভাব-অনটন নিয়েও তাদের মধ্যে বিবাদ লেগে থাকতো। ধারণা করা হচ্ছে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাচ্চু মিয়া তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর রাতের কোনো এক সময় গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মরদেহ বাড়ির পাশের কলা বাগানে ফেলে রাখেন।
শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, এখনো কিছু বুঝা যাচ্ছে না। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছেন। নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ ও রহস্য নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহত নারীর স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।