নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: ২৯ নভেম্বর গাজীপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির আত্মঘাতি বোমা হামলার ১৬তম বার্ষিকী। ২০০৫ সালের এ দিন সকালে গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ২নং হলরুমে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের আত্মঘাতি বোমা হামলায় ৪ আইনজীবী, ৪ বিচারপ্রার্থীসহ হামলাকারী জঙ্গি নিহত হন। হামলায় আরও অর্ধশতাধিক আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী আহত হন। পরে আহত অবস্থায় আরো একজন আইনজীবী মারা যান।
নৃশংস এ বোমা হামলায় নিহত আইনজীবীরা হলেন- আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিম, অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা, অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক অভি ও অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন মাখন।
নিহত বিচারপ্রার্থীরা হলেন- আব্দুর রউফ, বশির মেম্বার, শামসুল হক ও মর্জিনা বেগম।
আত্মঘাতি জঙ্গির নাম শরিয়ত উল্লাহ ওরফে আসাদুল ইসলাম।
এর দুইদিন পর ১ ডিসেম্বর দুপুরে আবারও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে জেএমবি বোমা হামলা চালায়। এতে কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম সরকার নিহত এবং সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, নজরুল ইসলাম বাদামীসহ ২৫ জন আহত হন। এদিন জেএমবির এক আত্মঘাতি সদস্য ফ্ল্যাক্স বোমা হামলা চালায়।
গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মনজুর মোর্শেদ প্রিন্স জানান, জেএমবির বোমা হামলার ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও সমিতির উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজধারণ, শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র্যালি, শোকসভা, মিলাদ, দোয়া ও তবারক বিতরণ।
এসব অনুষ্ঠানে জেলা জজ, জেলা প্রশাসক, জিপি, পিপিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
দুই দফা হামলায় নিহত ও আহতের ঘটনায় পুলিশ প্রথমে অজ্ঞাত জেএমবি সদস্যদের নামে তিনটি মামলা করে। পরে গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা জেএমবির সদস্যদের গ্রেনেড, গ্রেনেড তৈরির উপকরণ, জিহাদি বই ইত্যাদি উদ্ধার করে সর্বমোট ২১টি মামলা দায়ের করে।
মামলাগুলোর মধ্যে কয়েকটির বিচারকার্য সম্পন্ন হলেও কয়েকটি মামলার বিচার কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে রয়েছে বলে জানান গাজীপুর বারের সভাপতি অ্যাভেকেট সিদ্দিকুর রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।