নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ আওয়াম লীগের ১৭১ জনের নামে দুই থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকেও আসামি করা হয়েছে।
নগরীর গাছা থানায় করা হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ মামলায় ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলাটি করেন গাছা থানার পূর্ব কলমেশ^র এলাকার হাজী সাইফুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রজ্জব আলী।
গাছা থানার ওসি মো. জিয়াউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে কাশিমপুর থানায় হত্যা চেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে। এতে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলাটি করেন কাশিমপুরের লতিফপুর এলাকার আমিনুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. সোহেল রানা।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাছা থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তার ছেলে মো. আরিফ বেপারীকে (২৮) ২০ জুলাই মামলার আসামিরা তাদের হাতে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করে। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজম উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, টঙ্গীর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতিসহ ১১৫ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এতে ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে্
কাশিমপুর থানার মামলার বাদি মো. সোহেল রানা এজাহারে উল্লেখ করেন যে, তিনি একটি কোম্পানির স্টেশনারি পণ্যের সেলসম্যান হিসাবে বিভিন্ন দোকানে পণ্য সরবরাহ করেন। গত ৪ আগস্ট বিকাল ৪টার দিকে কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার উপর অবস্থান করছিলেন। ওই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতা চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ড অবস্থান করে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকলে প্রধান আসামি আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ অন্য আসামীরাসহ অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ আওয়ামী সন্ত্রাসী বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র রামদা লাঠি সোটা নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার উপর আক্রমণ ও গুলি করতে থাকে। এসময় একটি গুলি তার ডান পায়ে হাঁটুর নিচে লেগে বের হয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
মামলার উল্লেখ্যযোগ্য অপর আসামিরা হলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আজমত উল্লাহ খান, কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন (৫০), সাধারণ সম্পাদক মীর আসাদুজ্জামান তুলা (৫০)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।