আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ঔপন্যাসিক হিসবে গিনেস বুক রেকর্ডে মনোয়ন প্রত্যাশী ১১ বছর বয়সী সৌদির মেয়ে রিতাজ আল হাজমি। সৃজনশীল গল্প লিখে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন রিতাজ। ইতিমধ্যে ‘লস্ট সি’ ও ‘হিডেন ওয়ার্ল্ড’ নামে তাঁর দুটি উপন্যাস প্রকাশ পায় এবং শিশু বিষয়ক একটি বইয়ের কাজ চলছে।
সম্প্রতি সৌদি সংবাদ মাধ্যম আশ শারক আল আওসাতকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের লেখক হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা শোনায় রিতাজ। শৈশব থেকেই তাঁর ছোটগল্প লেখার অভ্যাস ছিল তাঁর। ছোটবেলাতেই লিখনীতে তাঁর সুপ্ত প্রতিভার পরিচয় খুঁজে পান তাঁর বাবা। বাবা ও পরিবারের সাবর উৎসাহ ও আগ্রহে এক সময় উপন্যাস লেখায় হাত দেয় রিতাজ। তবে উপন্যাস লিখতে গিয়ে নানামুখী কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে।
প্রথম উপন্যাস লিখতে গিয়ে এক বছর অতিবাহিত হয় রিতাজের। লেখার কাজে পরিবারের সার্বক্ষণিক সমর্থন ও সহায়তা এগিয়ে যেতে প্রেরণা যুগিয়েছে। আর তাই লেখা বিষয়ক বিভিন্ন ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন উপন্যাস ক্রয় করে পড়তে সহায়তা করে পরিবার।
নিজের উপন্যাস ‘লস্ট সি’ বইয়ের কথা উল্লেখ করে হাজমি বলেন, এক দ্বীপে অভাবগ্রস্ত এক পরিবারে দুই ভাই বসবাস করত। তাদের জীবন ছিল দুঃখ-কষ্ট ও নানা রকম চ্যালেঞ্জে ভরপুর। হঠাৎ এক সময় তারা নতুন পৃথিবীর সন্ধান লাভ করে। নতুন জগতে রোমাঞ্চকর জীবন শুরু করে সেখানের বীর বনে যায় তারা।’
লেখালেখির শুরুর দিকেই নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করে হাজমি। হাজমি বলেন, আমার বয়সী শিশুদের সীমিত উপন্যাসই আমাকে এ বিষয়ে লিখতে উৎসাহ যোগায়। এই শূণ্যতা পূরণে আমি লেখার চেষ্টা করছি। তাছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানের নতুন নতুন জগত সৃষ্টি করাও আমার উদ্দেশ্য। নিজের লেখায় জেকে রোলিং-এর অনেক প্রভাব অনুভব করেন হাজমি। রোলিং ছাড়াও জেসিকা ব্রডির ওয়ার্কশপ লেখার গুণগত মান বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
গিনেস বুক রেকর্ডের মনোয়ন প্রত্যাশী হওয়ার কথা উল্লেখ করে হাজমি বলেন, এ বিষয়টি নিয়মিত লিখতে আমাকে উৎসাহিত করবে। সর্বকনিষ্ঠ উপন্যাস লেখকের তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত হলে বিশ্বের অন্যান্য রেকর্ড ও কৃতিত্ব অর্জনেও অনুপ্রেরণা যোগাবে। তাছাড়া সমবয়সী শিশুদের কাছে আমি আদর্শ হিসেবে কাজ করতে চাই। যেন তারা উপলব্ধি করতে পারে যে তাদের অনেক কিছু করার সামর্থ্য আছে। সূত্র : আশ শারাক আল আওসাত
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।