জুমবাংলা ডেস্ক: ঘুষ নেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার আলোচিত সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। খবর ইউএনবি’র।
রবিবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুব্রত কুমার দাসের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতির’ অভিযোগে বিভাগীয় মোকদ্দমা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুরুতর এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে তাকে বিভাগীয় মোকদ্দমা চলাকালীন কর্মে বহাল রাখা সমীচীন হবে না।
এজন্য সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ১২ বিধি অনুযায়ী সুব্রতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তবে তিনি বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা ও অন্যান্য ভাতা প্রাপ্ত হবেন।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
গত ১৫ আগস্ট ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাস গত ১ সেপ্টেম্বর অফিস সময়ে ঊর্ধ্বতনদের অনুমতি ছাড়াই নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
অভিযোগের বিষয়ে সুব্রত কুমার দাশ বলেন, ‘এ অফিস থেকে অবৈধ সুবিধাবঞ্চিত কিছু দলিল লেখক আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছে।’
জমিদাতা ও দলিল গ্রহীতাদের সমস্যায় ফেলে অবাধে ঘুষ বাণিজ্য, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধিতে সহায়তা, জমির প্রকৃত মূল্য কম দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি, অসাধু দলিল লেখকের সঙ্গে ঘুষের টাকা ভাগবাটোয়ারা, ঊর্ধ্বতনদের অনুমতি ছাড়া দলিল সম্পাদন বন্ধ রেখে সরকারি অফিসে সংবাদ সম্মেলন ও সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে সুব্রতসহ ওই অফিসের মহরার আবদুস সালাম, নকলনবিশ সুমন আহম্মেদ ও দৈনিক মজুরি চুক্তির উমেদার (অফিস সহায়ক) আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে।
তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সাময়িক বরখাস্তসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন গত ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রার (আইজিআর) কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ঘুষের টাকা গুনে গুনে নেয়ার ভিডিও ভাইরাল, ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ এবং গণমাধ্যমে এসবের সংবাদ দেখে জেলা রেজিস্ট্রার গত ২৮ আগস্ট এর তদন্ত শুরু করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।