জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীতে ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিবেশীর উপর গুলি করার অভিযোগ পেয়ে অভিযানে গিয়ে পুলিশ খুঁজে পেয়েছে অস্ত্র তৈরির ‘কারখানা’। সেখান থেকে দুইটি পাইপগান, একটি এয়ারগান ও অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামসহ মেহেরুন্নেছা মুক্তা নামে একজনকে আটক করা হয়। সরঞ্জামগুলো একটি কবুতরের বাসায় লুকানো ছিল।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) ভোরে ডবলমুরিং থানার ২৩ নং উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের বংশাল পাড়ায় গফুর খান সওদাগরের বাড়ির ছাদের কক্ষে ওই অস্ত্র কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। এই কারখানায় মূলত পাইপগানের মতো অস্ত্র তৈরি করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, রাতে বংশালপাড়ায় গফুর খান সওদাগরের বাড়ির ছাদের কক্ষে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছি। সেখানে অভিযান চালিয়ে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ মেহেরুন নেসা মুক্তা নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মেহেরুন নেসা মুক্তা ও তার স্বামী নেজাম খান ওই ‘কারখানায়’ অস্ত্র তৈরি করতেন। নেজাম খান পলাতক রয়েছেন। নেজাম ও তার অপর এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ঘটনার সম্পর্কে ওসি মহসীন আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে নিজাম খাঁন তার প্রতিবেশী শাহ আলম নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করেন। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে শাহ আলম বেঁচে যান। গুলির শব্দে চারিদিকে মানুষজন বের হলে নিজাম পালিয়ে যায়।
পরে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে একটি কবুতরের খাঁচায় পাওয়া যায় অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুইটি পাইপগান, একটি এয়ারগান। এছাড়াও একটি ওয়েল্ডিং মেশিন, একটি গ্রেডিং মেশিন, একটি ওয়েল্ডিং হোল্ডার, একটি রিপিট গান মেশিন, একটি স্টিলের তৈরি দুইনলা ব্যারেল, ১১টি বিভিন্ন আকারের লোহার পাইপ, একটি ড্রিল মেশিন, ১৮টি বিভিন্ন আকারের স্প্রিং ও দুইটি সাদা রংয়ের কাগজের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রের নকশা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।