জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর সেনবাগে আমেনা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূ স্বামী-দেবর কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পরে নির্যাতনে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ অভিযুক্ত ২ আসামিকে আটক করে।
রোববার দুপুরে তাদেরকে আটক করা হয়। এর আগে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজারামপুর মোহাম্মদীয়া মিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রোববার সকাল থেকে গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও চিত্রটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
আটকরা হলেন- নির্যাতিত ওই গৃহবধূর স্বামী আমির হোসেন (৪০) এবং তার বোন হাসিনা বেগম। তারা উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজারামপুর মোহাম্মদীয়া মিয়া বাড়ির মৃত মছিজ উদ্দিনের ছেলেমেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধূ আমেনা বেগমকে শনিবার বিকাল ৪টার দিকে তার স্বামী আমির হোসেন ও দেবর এরশাদ নির্দয়ভাবে চুলের মুঠি ধরে লাঠি পেটা করেন এবং বেধড়ক চড় থাপ্পড়,লাথি, কিলঘুষি মারেন। এতে ওই গৃহবধূ গুরুত্বর আহত হয়ে পড়েন। নির্যাতনের শিকার আমেনা বর্তমানে তার বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, গৃহবধূকে নির্যাতনের ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ধারণ করেন এক প্রতিবেশী। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা হলে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, শনিবার বিকেলে ওই গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। রোববার সকালের দিকে নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত ওই গৃহবধূর দেবর পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
ওসি বাতেন আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সোমবার সকালে গ্রেপ্তারদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।