নাসা বলছে, আগামী ৫০০ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত থাকা যায়। গত ১৯ এপ্রিল সকালে ২০১৪ ঔ০২৫ নামের একটি উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। কিন্তু নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স জানিয়েছে, সেটা মহাজাগতিক পরিমাপে পৃথিবীর ‘খুব কাছ’ দিয়ে পার হয়ে গেছে।
২০০ ফুট লম্বা উল্কাটি ছিল শিকাগোর উইলস টাওয়ারের (এফ আর খান নির্মিত সিয়ারস টাওয়ার) চেয়েও বড়। খুব কাছ দিয়ে মানে অবশ্য ১০ লাখ ১০ হাজার মাইল দূর দিয়ে গেছে, যা চাঁদের গড় দূরত্বের সাড়ে চার গুণ বেশি। ১০ বছরের মধ্যে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছ ঘেঁষে চলে গেল। সূর্যের দিক থেকে সে আসছিল। পার হয়ে যাওয়ার পরও কয়েক রাত ধরে তাকে আকাশে দেখা গেছে।
২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে ৩ মাইলের বেশি লম্বা অ্যাস্টরয়েড টাউটাস পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের চার গুণ বেশি দূর দিয়ে চলে গেছে। এর মানে, গ্রহাণুর উত্পাত আছেই। যেন কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস নাসাকে মহাকাশ পর্যবেক্ষণে রাখার দায়িত্ব দিয়েছে।
নাসার একটি প্রোগ্রাম রয়েছে সব সময় আকাশকে চোখে চোখে রাখার। তারা দেখে, ১৪০ মিটার (৪৬০ ফুট) বা তার চেয়ে বড় কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর ৫০ লাখ মাইলের চেয়ে কাছে চলে আসছে কি না। তাদের হিসাবে এ রকম অন্তত ২৫ থেকে ২৬ হাজার গ্রহাণু রয়েছে। তবে এদের মধ্যে মাত্র ৭ হাজার ৭০০ খুঁজে পাওয়া গেছে। যদি কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে আসতে থাকে, তাহলে তাকে মহাশূন্যেই অন্যদিকে ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়ার একটি কার্যক্রম নাসা নিয়েছে। এ জন্য গ্রহাণুর গতিবেগ কয়েক সেন্টিমিটার/সেকেন্ড বেগ হেরফের করে দিলেই চলে।
দুটি মহাশূন্য যান পাঠিয়ে এ কাজটি করা হবে। ওদের কাজ হবে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা কোনো গ্রহাণুর গতিপথ প্রভাবিত করে একটু ঠেলে অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া। একে বলা হচ্ছে কাইনেটিক ইম্প্যাক্ট টেকনিক। যদি কয়েক বছর আগেই আমরা টের পাই তাহলে সেই গ্রহাণু আর পৃথিবীকে আঘাত হানতে পারবে না। নাসা অনুসন্ধানী চোখ রাখছে মহাশূন্যে গ্রহাণুর গতিবিধির দিকে। উল্কার গতিপথ বদলে দেওয়ার এই পরীক্ষা ২০২২ সালে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।