জুমবাংলা ডেস্ক: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ঋতুরাজ বসন্তের শুরু লগ্নেই গ্রামবাংলার প্রকৃতিতে রাঙিয়ে ফুটেছে শিমুল ফুল। পথের ধারে শিমুল ফুল দারুণ আকৃষ্ট করছে পথচারীদেরকে। গ্রামবাংলার মাঠে-ঘাটে রাস্তার পাশে অনাদর অবহেলায় বেড়ে উঠে এই গাছগুলোর ডালে ডালে লাল রঙের ফুল ফুটিয়ে জানান দেয় বসন্তের আগমন। তাই নানা ছন্দে কবি সাহিত্যিকদের লেখার খোরাক যোগায় রক্ত লাল এই শিমুল ফুল।
গাঁও-গ্রামের পথ-প্রান্তরের এক নজরকাড়া সৌন্দর্যের নাম লাল রঙের ‘শিমুল ফুল’। গাছে শিমুল ফুলের আগমনের মাধ্যমে প্রকৃতি বসন্তের বার্তা দেয়। গ্রামবাংলার মানুষ ক্যালেন্ডারের তারিখ গণনা করতে না পারলেও শিমুল গাছে ফুল এলেই বলতে পারে এখন ফাল্গুন মাস এসেছে।
গাঢ় লাল রঙের পাপড়ি আর সবুজ রঙের বোঁটায় শোভিত এক অপরূপ ফুলের নাম শিমুল। ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার পহেলা ফাল্গুন। আজ ফাল্গুনের প্রথম দিকেই শিমুল গাছে ফুটেছে লাল রঙের শিমুল ফুল।
আর চৈত্রের শেষে ফুটন্ত তুলা বাতাসের সঙ্গে উড়ে উড়ে প্রকৃতিকে মাতিয়ে রাখে। ফুলের হাসি দেখে মনে হয় সবুজের বুকে আগুন লেগেছে। যা দূর থেকেও মানুষের নজর কাড়ে, হৃদয় কাড়ে। যুগে যুগে শিমুল নিয়ে গান, গল্প কিংবা কবিতা লিখেছেন বলতে গেলে সব সাহিত্যিকই।
ভেড়ামারা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম বলেন, আগের মতো এত শিমুল গাছ আজ আর নেই। গ্রামে শিমুল গাছ তেমন একটা চোখে পড়ে না। শিমুল যেন হতে চলেছে অতীত স্মৃতি। শিমুল গাছ ওষুধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষ ফোঁড়া, আখের গুড় তৈরিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠ কাঠিন্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো। শিমুল কাঠ হালকা ও নরম, দেশলাইর বাক্স ও কাঠি বানাতে ব্যবহৃত হয়।
ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রাজা বলেন, গ্রামবাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিতো। গ্রামের মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক আর বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে গ্রামের মানুষ এমন নজিরও আছে। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় শিমুল গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। বর্তমানে নানা কারণে শিমুল গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.