ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ গ্রেপ্তারের আগে সাংবাদিকদের সে রাতের ঘটনা বিষয়ে নিজস্ব বক্তব্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারের আগে নাসির সাংবাদিকের সামনে নিজেকে ভিক্টিম বলে দাবি করেন।
নাসির জানান, সেদিন পরীমনি মদ্যপ অবস্থায় ক্লাবে প্রবেশ করেন। তারা জোর করে দামি মদ নিতে গেলে বাধা দিয়েছিলেন তিনি, তাতে এই অভিনেত্রী উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন।
তিনি বলেন, তারা তো নিতে পারে না, তারা তো মেম্বার না। আমি শুধু তাদের বাধা দিয়েছি, এটা নেয়া যাবে না। এটা বিক্রিযোগ্য নয়। এরপরই সে (পরীমনি) উত্তেজিত হয়ে যায়। তারপর সে আমাকে গালাগালি শুরু করে। আমার স্টাফরা তাকে থামানোর চেষ্টা করে।
পরীমনির সঙ্গীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে পাল্টা অভিযোগ করে নাসির বলেন, তার সঙ্গে যে ছেলেগুলো ছিল, সে আমাকে চড় থাপ্পড় দেয়, ও (পরীমনি) গ্লাস মারলে আমার ঘাড়ে লাগে। এ অবস্থায় আমার সিকিউরিটিদের আমি নির্দেশ দিই, সিকিউরিটিরা তাকে নিয়ে যায়।
এর আগে পরীমনি অভিযোগ করেন, গত ৮ জুন উত্তরার পাশের বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে তার ওপর চড়াও হন নাসির। তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি মারধরও করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার মামলা করেন পরীমনি। তার মামলায় প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির ও অমিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে তাদের উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার বাকি ৩ জন হলেন লিপি, সুমি ও স্নিগ্ধা। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে মাদকও জব্দ করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
এদিকে পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকা বোট ক্লাব নির্বাহী কমিটি থেকে নাসির উদ্দিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসাথে নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শাহ এস আলমের ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।