ত্বকের যত্নে এখন কোরিয়ান স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ও রুটিন খুবই জনপ্রিয়। তবে কোনটা রেখে কোনটা নেব, নিজের ত্বক বুঝেই–বা কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করব বা করব না, তা জানা না থাকলে যেন অথই সাগরে পড়ার মতো অবস্থা হয়। কোরিয়ান স্কিনকেয়ারের কথা বলতে গেলেই চলে আসে গ্লাস স্কিনের কথা। গ্লাস স্কিন বলতে কী বোঝায়? গ্লাস স্কিন বলতে কোরিয়ানরা বোঝেন দাগহীন, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক। বিভিন্ন দেশের নানা রকম স্কিনকেয়ার সবাই কমবেশি করে থাকেন। কিন্তু বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ কোরিয়ান স্কিনকেয়ার করে আশানুরূপ ফল পেয়েছেন।
আমাদের দেশ গ্রীষ্মপ্রধান। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহারটা একদম জরুরি। শুধু গ্রীষ্মকালে নয়, শীতকালেও কিন্তু সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যতক্ষণ সূর্যের আলো থাকে, ততক্ষণ ত্বকে সানস্ক্রিন থাকাটা জরুরি। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের যে ক্ষতি করে, তা থেকেই কিন্তু ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা হয়।
তাই নিয়মিত ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়ে থাকে, তাহলে হালকা গড়নের অয়েল ফ্রি সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। আর ত্বক শুষ্ক হলে হাইড্রেশন–সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভালো। তবে জিংক অক্সাইড বা টাইটেনিয়াম অক্সাইড–সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে আরও ভালো। বিভিন্ন কোরিয়ান ব্র্যান্ড থেকে এই সানস্ক্রিনগুলো বেছে নিতে পারেন। রোদে বের হওয়ার ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ভালো।
সিরাম বা এসেন্সের কার্যকারিতা বজায় রাখে ময়েশ্চারাইজার। তবে অবশ্যই আপনার ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার কিনতে ভুলবেন না। ময়েশ্চারাইজার ত্বককে শুধু হাইড্রেটই রাখে না; বরং ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে ব্রণ, র্যাশ ও চুলকানির হাত থেকে রক্ষা করে।
আপনার ত্বক শুষ্ক ও সেনসিটিভ হলে ক্রিমবেজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। আর তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন হালকা গড়নের ওয়াটারবেজড বা জেল ময়েশ্চারাইজার। অনলাইন থেকে বা বিভিন্ন দোকান থেকে এখন সহজেই নামীদামি কোরিয়ান ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার সহজে পেয়ে যাবেন।
আবহাওয়া ও পরিবেশের জন্য ত্বকে অনেক ধুলাবালু জমে যায়। তাই কিছুদিন পরপর ত্বকের মলিনতা হারিয়ে যেতে শুরু করে এবং ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। আপনি নিয়মিত ত্বকে সিরাম বা স্পট ট্রিটমেন্ট যা–ই ব্যবহার করেন না কেন, সঙ্গে কিছু ফেসিয়াল ট্রিটমেন্টও জরুরি। অনেকে প্রায়ই ত্বকে ব্রণ বা র্যাশের সমস্যায় ভুগে থাকেন।
কোরিয়ান স্কিনকেয়ারে বিভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন, যেগুলো শুধু ব্রণ যে জায়গায় হয়েছে, সেই জায়গায়ই ব্যবহার করতে হয়। এগুলোকে বলা হয় অ্যাকনে, ব্রণ পিম্পল প্যাচ। প্যাকেটের গায়ে ব্যবহারের নিয়ম দেখে সে অনুযায়ী ব্যবহার করলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে। তাই ত্বকে ব্রণ লক্ষ করলে অবশ্যই এই অ্যাকনে প্যাচ ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
এ ছাড়া ব্যবহার করতে পারেন সিরাম বা এসেন্স।
সিরাম ও এসেন্সে থাকে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, যা ত্বকে ময়েশ্চার বজায় রেখে ত্বককে সারা দিন হাইড্রেট রাখে। ত্বককে টোন, ময়েশ্চারাইজড ও নরিশড রাখতে চাইলে নিয়মিত ত্বকে সিরাম বা এসেন্স ব্যবহার করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন রাতে ত্বক পরিষ্কার করে টোন ব্যবহারের পর সিরাম বা এসেন্স ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া ত্বক বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হলে গোসলের পরও ব্যবহার করতে পারেন। মোটকথা, ত্বকের ধরন বুঝে দিনে একবার বা দুবার ব্যবহার করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।