চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে নিজের পরিবারের দুইজন ও অফিসের ৮ কর্মীকে আক্রান্ত করেছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক যুবক। এ ঘটনায় শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় তার নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি তিনি বিদেশ থেকে ফিরেছেন। তাকে কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও তিনি সেটা মানেননি। পরবর্তীতে পরীক্ষায় তিনি করোনা পজেটিভ প্রমাণিত হন।
তার পরিবারের আরও দুই সদস্য করোনা পজেটিভ হয়েছেন এবং তার অফিসের ৮ সহকর্মী করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে সন্দেহ করা হরা হচ্ছে। তাদের মাঝেও করোনার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে । এই সহকর্মীরা সবাই তার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল বলে জবলপুরের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত ১৬ মার্চ ওই ব্যক্তি দুবাই থেকে দেশে ফিরেছেন। বিমানবন্দরে স্ত্রিনিংয়ে তার করোনা ধরা পড়েনি। তবে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ভারত জাদব। বিদেশফেরত সকল যাত্রী এবং যারা সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন সকলের জন্য এটা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর।
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে। সেখানে জবলপুর শহরেরর চারজন করোনা পজেটিভ সনাক্ত হন। তাদের মধ্যে এই ব্যক্তি এবং তার পরিবারের দুই সদস্যও রয়েছেন। এছাড়া একটা ম্যানস শপে কাজ করে এমন ২২ জনের মাঝেও করোনার লক্ষণ দেখা দেওয়ায় তাদেরও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। যদিও তাদের পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি।
যাদব বলেন, এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি আইপিসি ধারা ১৮৮ (সরকারী আইন অমান্য করা) এবং ২৬৯ (রোগের সংক্রমণের ছড়ানো) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যারা তার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের সকলকে প্রশাসন খুঁজে বের করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া ভাইরাসের লক্ষণযুক্ত আট কর্মচারীকে জেলা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এদিকে জেলা কর্তৃপক্ষ, নগরীর সমস্ত বাজার বন্ধ রাখার এবং প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের সাথে জড়িত ব্যতীত বাস ও পরিবহন পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।