মাহফুজুর রহমান : এবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খানের বিরুদ্ধে।
২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর রাশেদুল ইসলামের যোগসাজশে চেয়ারম্যান হতদরিদ্র পরিবারগুলোর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। ঘর না পেয়ে পরিবারগুলো টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছে হতদরিদ্র ১৩ পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন ওই ইউনিয়নের সাতগাছী গ্রামের তরিকুল ইসলাম, গোষ্টগোপাল, স্বপন, কিরন, মোস্তফা, বিকাশ, ধীরেন, শরিফুল, রাশেদা খাতুন, জীতেন, কুমারহাটি গ্রামের মতিয়ার, তেতুলবাড়ী গ্রামের বুদো ও রবিনের কাছ থেকে এক বছর আগে ঘর দেয়ার কথা বলে মোট ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন ঘর দেয়া তো দূরের কথা টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম বলেন, এক বছর আগে ঘর দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ঋণ নিয়ে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছি। বছর পার হয়ে গেল আজও আমার ঘর দেয়ার নাম নেই। টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাদের গালিগালাজ করে চেয়ারম্যান। আমার ঘর দরকার নেই, আমি টাক ফেরত চাই।
ভুক্তভোগী গোষ্টগোপাল বলেন, আমি সহজ-সরল গরীব মানুষ। কর্ম করে খাই, আমার কোনো জমি নাই। বাবার যেটুকু আছে তাতেই কোনমতে বেঁচে আছি। চেয়ারম্যান আয়ুব আর মেম্বর রাশেদুল সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ঘর না পেয়ে আমি আমার টাকা ফেরত চাইতে চাই। টাকা না দিয়ে উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান বলেন, আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। রাশেদুল মেম্বর নাকি আমার নাম করে টাকা নিয়েছে। কয়েকজন আমার কাছে নালিশ করার কারণে আমি জানতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্না রানী সাহা বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। তদন্তের ফলাফল এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।