জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক মাদরাসা ছাত্রী। এ ঘটনায় গ্রামবাসী দুই যুবককে আটক করে পুলিশে দিলে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার গভীর রাতে উপজেলার মুরাইদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ছাত্রীর বাবা ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর শুক্রবার তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ধর্ষণের অভিযোগে আটক দু’জন হলেন- ঘাটাইল উপজেলার মুরাইদ গ্রামের আয়নাল হোসেনের ছেলে মো: মোস্তফা (২৫) ও মফিজ উদ্দিন মোড়লের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (৩৫)। তারা দু’জনই বিবাহিত।
মামলার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের সাপমাড়া গ্রামে। সে স্থানীয় মুরাইদ সিরাজনগর দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা দুই বিয়ে করেছেন। সংসারের অভাবের কারণে ছাত্রীটি চাকরির চেষ্টা করছিল।
চাকরির খোঁজে ওই ছাত্রী ৫ অক্টোবর গাজীপুরে তার এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। গাজীপুর থাকা অবস্থায় তার আগের পরিচিত মুরাইদ গ্রামের আয়নাল হোসেনের ছেলে মোস্তফা ওই ছাত্রীকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখান। ৬ অক্টোবর দুপুরে চাকরির ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য মোস্তফা তাকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন। ওই ছাত্রী চন্দ্রা গেলে রাত ৮টার দিকে সেখান থেকে তাকে মোস্তফা নিজ গ্রাম মুরাইদে মোফাজ্জল হোসেন (৩৫) নামে এক লোকের বাড়িতে নিয়ে যান। মোস্তফা তাকে জানান যে মোফাজ্জলের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তাকে চাকরি দেয়া হবে। এ কারণে মেয়েটি মোফাজ্জলের বাড়িতে যেতে ও রাতে থাকতে রাজি হয়। পরে ওই বাড়ির একটি টিনের ঘরে ওই ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
এভাবে পূর্ব-পরিকল্পনা মোতাবেক গভীর রাতে মোস্তফা ও মোফাজ্জল দুই বন্ধু মিলে জোরপূর্বক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করে। এ সময় বাড়ির আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত দুই যুবক মোস্তফা ও মোফাজ্জলকে
আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে রাতেই উপজেলার সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে এবং স্থানীয় জনতার হাতে আটক হওয়া দু’জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার ছাত্রীর বাবা আটক দু’জনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার সাগরদীঘি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, শুক্রবার সকালে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ও আটক দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।