জুমবাংলা ডেস্ক : ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ লণ্ডভণ্ড করে দেয় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। তীব্র ঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে কেড়ে নেয় উপকূলের হাজারও মানুষের প্রাণ। ভয়াবহ এ ঝড়ের পর গত ১২ বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন উপকূলীয় জেলা বরগুনার মানুষ, পরিবর্তন হয়েছে তাদের চিন্তা ভাবনার। প্রশাসনের দাবি, এ কারণেই বর্তমানে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমেছে।
১২ বছর আগের এই দিনে রাতভর সিডরের প্রচণ্ড গতির ঝড়ে ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূল অঞ্চল। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দক্ষিণের জেলা বরগুনা। প্রাণ হারায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ। সেদিনের সেই ভয়াবহ স্মৃতি মনে করে এখনও আঁতকে ওঠেন অনেকেই।
অসচেতনতা ও অবকাঠামোগত সংকট সিডরে ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়েছিল বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা। এখন যা অনেকটাই লাঘব হয়েছে, দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সাইক্লোন শেল্টার বাড়ানোয়। আর ঝড়ের সময় সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার সচেতনতাও তৈরি হয়েছে এলাকাগুলোতে। যার প্রমাণ সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়া। ফলে কমেছে প্রাণহানির সংখ্যা।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর দাবি, আবহাওয়া অফিস ও সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন তারা। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আমরা প্রায়ই সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করি। এর বাইরে এখানে একটি আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস হলে জনগণ আরও উপকৃত হতো।
সিডরে জেলায় ৬৮ হাজার ৩৭৯টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। নিহত হয় ১ হাজার ৩৪৫ জন মানুষ। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৪৮৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।