চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় কোনও করোনা রোগী নেই

প্রতীকী ছবি

জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে পরপর তৃতীয় দিনের মতো ১৪ উপজেলার একটিতেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী মিলেনি। তবে এ সময়ে শহরের নতুন ৪ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া, করোনায় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।

চট্টগ্রামের হালনাগাদ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এ সব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের নতুন ৪ জীবাণুবাহক শনাক্ত হন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ২৩৮ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৯৭৮ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৬০ জন।

গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৫ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শহরের ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০২ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫১৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সবগুলোরই রেজাল্ট  নেগেটিভ আসে। চার সংক্রমিত শনাক্ত হয় তিন বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে। এর মধ্যে এপিক হেলথ কেয়ারে ১৬ জনে ২ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬ জনে একজন ও শেভরনে ৩৯৯ জনে একজন রয়েছেন।

অপর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮৫, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ৫, এন্টিজেন টেস্টে ৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৫৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭১ এবং আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে একটিতেও জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো একমাত্র নমুনায়ও ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি।

তবে এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ০ দশমিক ২৫, মেডিকেল সেন্টারে ১৬ দশমিক ৬৬ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, চমেক, চবি, এন্টিজেন টেস্ট, আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল ও  কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস