প্রতীক মুস্তাফিজ : চট্টগ্রামে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনোর মূল হোতাদের সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়ে চলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জানা গেছে, অপরাধীদের বেশিরভাগই প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী। তাই তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহে অত্যন্ত কৌশলী পদেক্ষেপে এগোতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার দলীয় হুইপ ও চট্টগ্রাম–১২ আসনের সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর পিএ নূর উর রশীদ চৌধুরী ওরফে এজাজ চৌধুরী পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা আর তদবির বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ আছে। তিনি চট্টগ্রামের ক্লাবগুলোতে চলা জুয়ার আসর থেকে প্রতিদিন বড় অঙ্কের অর্থ পেতেন বলেও অভিযোগ আছে দুদকের হাতে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জুমবাংলাকে বলেন, ক্যাসিনো ব্যবসায় চট্টগ্রামে কারা জড়িত এ বিষয়ে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহে অত্যন্ত কৌশলী হয়ে এগোচ্ছে দুদক। এ কারণে আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের হুইপ চট্টগ্রামের পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরীর পিএ এজাজ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লিড পাওয়া গেছে। যা এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ক্লাবগুলোতে চলা জুয়ার আসর থেকে আলোচিত প্রভাবশালী ওই নেতা প্রতিদিন বড় অঙ্কের অর্থ পেতেন বলেও অভিযোগ আছে দুদকের হাতে। এজাজের অবৈধ সম্পদের খোঁজ করতে গিয়ে তাঁর বাবা আব্দুল মালেক, বড় ভাই সুলতান উর রশীদ চৌধুরী এবং স্ত্রী সুরাইয়া আক্তারের সম্পদেরও খোঁজ নিচ্ছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়ে তাঁদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে দুদক। এ ছাড়া ভূমি অফিস, সাবরেজিস্ট্রি অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে তাঁর সম্পদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।