জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দু’জনসহ চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে করোনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৪৩ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করে আরো ১৭৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৭ হাজার ৪১২ জন।
সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০ হাজার ৯৩৯ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৪৭৩ জন। এদিন শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৬১ জন ও আট উপজেলার ১৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪ জন, সীতাকু- ও ফটিকছড়িতে ৩ জন করে, পটিয়া, আনোয়ারায় ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং মিরসরাই ও রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সীতাকুন্ডের একজনসহ করোনায় দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩২৯ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২৩৩ জন ও গ্রামের ৯৬ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৯০ জন। এতে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৬৭০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৬৩৮ জন। বাসায় থেকে ২২ হাজার ৩২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন। ছাড়পত্র নেন ৮০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১৯৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, এদিন সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৯৬ জনের নমুনার মধ্যে ৬০ জন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৩৭টি নমুনার ১০টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১৪ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২৪টি নমুনার ১৬টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
নগরীর তিন বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে সেভরনে ১০২টির মধ্যে ২১টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭৫টি নমুনায় ২৭টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ১৩ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ, চমেকে ১২ দশমিক ০৯, সিভাসু’তে ৭ দশমিক ৩০, চবিতে ১১ দশমিক ৮৬, আরটিআরএলে ৬৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, শেভরনে ২০ দশমিক ৫৯, ইম্পেরিয়ালে ৩৬ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।