জুমবাংলা ডেস্ক : চাচা নুরুল হুদাকে অপহরণের পর হত্যার দায় প্রমাণিত হওয়ায় তিন ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল। আজ রবিবার আদালতের বিচারক মো. মোজাম্মেল হক এই রায় ঘোষণা করেন। একই রায়ে আসামিদের অপহরণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে হত্যার দায় প্রমাণিত না হওয়ায় সোহায়েত ও তার ভাই সাফায়েতকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য হত্যার দায় থেকে খালাস পেলেও অপহরণে সহযোগিতার দায় প্রমাণিত হওয়ায় মোহাম্মদ সোহায়েতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের মধ্যে আবু বকর সিদ্দিক ও মোহাম্মদ সোহায়েত কারাগারে রয়েছেন। অন্যরা পলাতক।
দণ্ডিতরা হলেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বদরখালী মগনামাপাড়ার নূর আহমদের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, ইউনুছ হোছাইন মানিক ও ইব্রাহিম মোস্তফা আবু কাইয়ুম। এ ছাড়া অপহরণের দায়ে একই এলাকার নুরুল আজিমের ছেলে মোহাম্মদ সোহায়েতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের পাবলিক প্রসিকিউটর আইয়ুব খান। তিনি বলেন, নিহত নুরুল হুদা ছিলেন বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাকে অপহরণের পর হত্যার দায় প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তিনজনকে মৃতুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। দণ্ডিত দুই আসামি কারাগারে রয়েছেন। বাকি দুজন পলাতক। মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে এবং যাবজ্জীব কারাদণ্ডিত আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, চিংড়িঘের ও জমি নিয়ে চাচার সঙ্গে ভাতিজাদের বিরোধ ছিল। এরই মধ্যে ইউপি নির্বাচন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বাধীনতবিরোধীদের বিচার কার্যক্রম চলছিল। ২০১৬ সালের ৩০ জুন বদরখালী ফেরিঘাট এলাকায় একটি চা দোকানে বসে রাজাকারদের ফাঁসি হবে―এমন মন্তব্য করেন নিহত নুরুল হুদা। এ নিয়ে ভাতিজা আবু বকর সিদ্দিক চাচা নুরুল হুদার সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। তর্কের একপর্যায়ে আসামিরা একটি অটোরিকশায় তুলে নুরুল হুদাকে নিয়ে যান। পরে ফেরিঘাটের অদূরে একটি স্থান থেকে নুরুল হুদার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তের পর পুলিশ ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচারিক পর্যায়ে মামলার ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আসামিরা ন্যায়বিচার পাননি। পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে মক্কেলের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।