জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন ৫৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। তবে এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর এগারো ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামের ৩১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৫৩ জনের মধ্যে শহরের ৪৭ ও চার উপজেলার ৬ জন। উপজেলার ৬ জনের মধ্যে বাঁশখালীতে ২ জন এবং আনোয়ারা, বোয়ালখালী, পটিয়া ও হাটহাজারীতে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৭ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৯৫৮ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৬৪৯ জন। গতকাল করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৫ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪৪টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৫টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৫ জনের নমুনায় শহরের ৯ ও গ্রামের ২ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ১১ নমুনার মধ্যে শহরের ৫টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি পরীক্ষাগার ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৫ নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৮ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৭ জনের নমুনায় শহরের ৩ ও গ্রামের একজনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৩১টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩টি আক্রান্ত চিহ্নিত হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১০টি নমুনার একটিতে জীবাণু পাওয়া যায়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৫, ল্যাব এইডে ১ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যাবে ৩৯ নমুনায় একটিতেও ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩৪ জনের এন্টিজেন টেস্টে ৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৩৪ দশমিক ০৯, চমেকহা’য় ৪৪, আরটিআরএলে ৪৫ দশমিক ৪৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২২ দশমিক ৮৫, এপিক হেলথ কেয়ার ১০ দশমিক ৮১, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৯ দশমিক ৬৮, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১০ শতাংশ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ। এন্টিজেন টেস্টে আক্রান্তের হার ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।