জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময় শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর সাত ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ১৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ২২ জনের মধ্যে শহরের ১৬ ও চার উপজেলার ৬ জন। উপজেলার ৬ জনের মধ্যে ফটিকছড়ি ও সাতকানিয়ায় ২ জন করে এবং রাউজান ও বাঁশখালীতে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৮১৪ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯৩ হাজার ১২৬ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৬৮৮ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শহর ও গ্রামের কোনো রোগি মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৫ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ৭ ও গ্রামের একজনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে পরীক্ষিত ২১ নমুনায় শহরের ২টিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ১২ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২৫ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৫ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৯, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১২, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই চার ল্যাবে পরীক্ষিত নমুনার একটিতেও করোনার জীবাণু পাওয়া যায়নি। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৭ নমুনার একটির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৯ দশমিক ৫২, আরটিআরএলে ৫০ শতাংশ, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১৪ দশমিক ২৮, শেভরন, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ২০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।