চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বুধবার সকাল ৮টা থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
শীতের সকালের শুরুতেও বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।
জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন সংস্করণের এক খবরে চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। নগরীর পাড়ারতলী ও ঝাউতলা এলাকায় সংঘর্ষে তাদের মৃত্যু হয়।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী সালাউদ্দিন কামরুলের ছুরিকাঘাতে নিহত হন তারই ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী নিজামউদ্দীন।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীর ঝাউতলায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নামে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহত আলাউদ্দিন পেশায় রাজমিস্ত্রী এবং তিনি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থীর সদস্য।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হাসানুজ্জামান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন।
এবার চসিক নির্বাচনের প্রথমবারের মতো পুরো নির্বাচন হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
আগামী পাঁচ বছর চট্টগ্রামের নগরপিতা কে হবেন, তা নির্ধারিত হবে আজ। ভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
নির্বাচনে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। মেয়র পদে সাতজন ও কাউন্সিলর পদে ২২৯ জন প্রার্থী আছেন ভোটের মাঠে।
নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৭৩৫ ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে মঙ্গলবার নির্বাচনসামগ্রীও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের দায়িত্বে আছেন মোট ১৪ হাজার ৩৭০ জন র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য। ২৫ প্লাটুন বিজিবি সোমবার থেকে টহলও দিচ্ছে নগরীর বিভিন্ন সড়কে।
নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হলেও প্রশাসনের টেনশন বেশি ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে। দলীয় সমর্থন না পেয়ে এসব ওয়ার্ডের নয়টিতে বর্তমান কাউন্সিলররাই বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
অপর তিনটি ওয়ার্ডের একটিতে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ভোটার আছে। বর্তমান কাউন্সিলররা দলীয় সমর্থন পেলেও অন্য দুটি আলোচনায় আছে একাধিক বিদ্রোহী নিয়ে। ত্রিমুখী লড়াই হওয়া এই ১২টি ওয়ার্ডের দিকে তাকিয়ে আছে প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থীরাও। কারণ জয়-পরাজয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে এই ওয়ার্ডগুলো। এসব ওয়ার্ডে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও বেশি রাখছে নির্বাচন কমিশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।