জুমবাংলা ডেস্ক: ভারতের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ৭ দিন পর দেশের লকডাউনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ মে) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভারতের করোনা পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি। আগামী ৭ দিন পর দেশের লকডাউন নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ছাড়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকাদান সম্পূর্ণ হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার। ফলে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ল এ বিধিনিষেধ।
রবিবার (১৬ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সকল বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সূত্রস্থ স্মারকসমূহের নির্দেশনার অনুবৃত্তিক্রমে নিম্নোক্ত শর্তাবলি সংযুক্ত করে এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ১৬ মে ২০২১ তারিখ মধ্যরাত হতে ২৩ মে ২০২১ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো:-
(ক) সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল দপ্তর/সংস্থাসমূহ জরুরি পরিষেবার আওতাভুক্ত হবে।
(খ) খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহ কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (Takeaway/Online) করতে পারবে।
চলমান এই বিধিনিষেধে বর্ধিত মেয়াদেও জেলার মধ্যে বাস চলবে। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া আগের মতোই বন্ধ থাকবে ট্রেন ও লঞ্চ। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে। খোলা আছে ব্যাংকও। এ ছাড়া জরুরি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অফিসগুলোও খোলা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।