সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদ আমাদের ছেড়ে যত দূরে চলে যাবে, তত ছোট হয়ে আসবে এর আকার। সংকোচনের কারণে দৃশ্যমানভাবে চাঁদের আকার আরও ছোট দেখাবে। একসময় পৃথিবী থেকে আমরা আর চাঁদকে দেখতে পাব না। মাসের নানা সময় আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদকে নানা আকারে দেখতে পাই।
চাঁদের কক্ষপথ পুরপুরি বৃত্তাকার নয়, উপবৃত্তাকার। ফলে পৃথিবীর কাছে এলে চাঁদ বড় দেখায়, আবার পৃথিবী থেকে দূরের বিন্দুতে অবস্থান করলে ছোট দেখায় চাঁদ। কক্ষপথের আকার পরিবর্তনের চেয়ে প্রতি মাসে চাঁদের এই পরিবর্তন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
শত শত কোটি বছর পর চাঁদের সরে যাওয়ার মারাত্মক প্রভাব দেখা যাবে পৃথিবীতে। সমুদ্রের স্রোত প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে প্রচুর সামুদ্রিক প্রাণী মারা যাবে। পাশাপাশি পুরো পৃথিবী হয়ে যাবে অস্থিতিশীল, অনেকটা দুলতে শুরু করবে। জলবায়ুতে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন।
তবে এসব কোনোটাই এখন চিন্তার বিষয় নয়। শত কোটি বছর পর এসব দেখার জন্য হয়তো আমরা কেউ বেঁচে থাকব না। আর থাকলে সে সময় নিশ্চয়ই কোনো একটা উপায় বের করে ফেলবে মানুষ। কে জানে! বর্তমানে চাঁদের এই সক্রিয়তা দেখে বিজ্ঞানীরা ভাবছেন ভিন্ন কথা। চাঁদে দীর্ঘমেয়াদী মানববসতি তৈরির জন্য নিরাপদ জায়গা প্রয়োজন। চন্দ্রকম্পের ফলে তৈরি ফাটলগুলো এ ক্ষেত্রে বেশ কাজে আসবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।