জুমবাংলা ডেস্ক : কুলসুম বেগম, বয়স ৩২ বছর। সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের বেগুনবাড়ি গ্রামের মকলেছের কন্যা সে। ঘরে ৫ বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তালাক দেয় স্বামী। কাজের সন্ধানে পাড়ি জমায় ঢাকায়। সেখানে গার্মেন্টসে কর্মরত অবস্থায় স্বামীর আপন ভাতিজা মিটুলের (২৮) সাথে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেম থেকে বিয়ে!
দুজন ঢাকাতেই ঘর-সংসার করছিলেন। সম্প্রতি তারা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এলে ছেলের চাইতে মেয়ের বয়স বেশি হওয়ায় কলহের সৃষ্টি হয়। শালিস-বৈঠকের পর সংসার করতে থাকেন কুলসুম।
কুলসুমের অভিযোগ, বাড়িতে এসে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মিটুল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। বুধবার রাতে স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে কোনো এক সময় ধারালো ব্লেড দিয়ে তার লিঙ্গ কেটে ফেলেন কুলসুম। পরে মিটুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে কুলসুমকে আ’টক করে জবানবন্দির জন্য নাটোর কোর্টে প্রেরণ করেছে সিংড়া থানা পুলিশ।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মিটুলকে রামেকে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার স্ত্রী কুলসুমকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।