আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইমরান খানের ওপর গুলি চালানো যুবক এবার জানালেন, ‘আমি দেখছিলাম তিনি জাতিকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছেন। আমার লক্ষ্য ছিল কেবলই ইমরান খান, অন্য কেউ নয়।’
হামলাকারীর আরও দাবি, এই ঘটনায় কেউ তাকে মদদ দেয়নি, তিনি একা একাই হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নাভিদ নামের হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলাকারী ওই যুবক মাদকাসক্ত।
তাই জবানবন্দিতে দেওয়া তার সব কথার বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
অভিযুক্ত জানিয়েছে, ওয়াজিরাবাদে ওয়াকাস নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২৬টি গুলিসহ একটি পিস্তল কিনেছিলেন সে।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে অভিযুক্ত আরও বলেছে, সে প্রথমে ইমরান খানকে একটি মসজিদের ছাদ থেকে গুলি করতে চেয়েছিল। কিন্তু সে সময় আসরের নামাজ চলায় মসজিদের ছাদে যেতে পারেনি।
পুলিশের সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, একটি বাইপাস সড়ক ব্যবহার করে ঘটনাস্থলে যায় হামলাকারী নাভিদ। সেখানে গিয়ে উচ্চস্বরে বাজানো গান বন্ধ করতে বলে সে। এর পর ইমরানের কনটেইনার থেকে ১৫-২০ ধাপ দূর থেকে গুলি ছোড়া শুরু করে। গুলিগুলো বাড়িতে তৈরি করা হয়েছিল। পিস্তল থেকে আটটি গুলি ছোড়ার পর এটি অকার্যকর হয়ে যায়। এখন ঘটনাস্থল থেকৈ উদ্ধারকৃত গুলির ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ওয়াকাস এবং ফয়সাল বাট নামে আরও দুইজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। প্রধান অভিযুক্ত নাভিদের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ঘটনার পর অভিযুক্ত নাভিদের পরিবারের সদস্যদেরও আটক করে নিয়ে আসা হয়।
প্রথমদিকে নাভিদকে বিভাগীয় পুলিশের হেফাজতের রাখা হলেও বর্তমানে সে আছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে। এ ঘটনায় বড় কোনো চক্র জড়িত কিনা সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।