জুমবাংলা ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরে প্রায় চার মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর খুড়ে মুদি ব্যবসায়ী রিপনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার চররমনী মোহন এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
এর আগে ৬ জুন নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয় তার মরদেহ। পরে নিহতের বোনের দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই দোকানির লাশ উত্তোলন করা হয়।
এদিকে লাশ উত্তোলনের খবর পেয়ে স্থানীয় উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন মুদি দোকানি রিপনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয় তার পারিবারিক কবরস্থানে।
এদিকে রিপনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে ঘটনার ২ মাস ১৭ দিন পর ২৩ আগস্ট লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে একটি মামলা করা হয়। নিহতের বোন নাজমা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা করলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে লাশ উত্তোলনসহ ঘটনার তদন্তের নির্দেশনা দেন।
মামলার বাদী ও স্বজনরা অভিযোগ করেন, রিপনের অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিতে ঘটনার দিন তাকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা শাহ আলম মোল্লা, কামরুল মোল্লাসহ কয়েকজন জড়িত রয়েছে দাবি করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার জানান, পরিবার ও সামাজিক বৈঠকের পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই রিপনের লাশ দাফন করা হয়েছে। বিভিন্নজনের কাছ থেকে তার (নিহত রিপনের) পাওনা ৭ লাখ টাকার কিছু উদ্ধার করে বোনদের দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু মামলা করায় তারা এখন আর টাকা নিচ্ছে না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন ক্যামরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।