জুমবাংলা ডেস্ক : চালের দাম মিল পর্যায়ে কেজিপ্রতি প্রকারভেদে দুই-তিন টাকা করে কমেছে। তবে খুচরা পর্যায়ে দাম চার-পাঁচ দিন যাবৎ স্থির রয়েছে। আবার বিভিন্ন বাজারে একই চাল ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ধানের দামও মণপ্রতি ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে চালের দাম। শনিবার (৪ জুন) নওগাঁ পৌর খুচরা ও পাইকারি চাউল বাজারে প্রকারভেদে কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা দাম কমেছে। সরকারের অভিযানের ফলে চালের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে আর ধানের দাম বস্তা প্রতি ১০০-১৫০ টাকা কমে যাওয়ায় চালের বাজারে বস্তা প্রতি ৮০-১০০ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নওগাঁ পৌর চাল বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহে সম্পাকাটারী চাল বিক্রি করছেন ৭৪-৭৬ টাকা কেজি সেখানে বর্তমানে ৭০-৭২ টাকা কেজি, স্বর্না-৫ ছিল ৪৭-৪৮ টাকা কেজি সেখানে বর্তমানে ৪৪-৪৫ টাকা কেজি, জিরাশাইল ছিল ৬৪-৬৫ টাকা কেজি সেখানে বর্তমানে ৬০-৬২ টাকা কেজি, উনত্রিশ ছিল ৫৫-৫৬ টাকা কেজি সেখানে বর্তমানে ৫২-৫৪ টাকা কেজি। অর্থাৎ প্রকারভেদে প্রতিটি চালে কেজিতে ২-৩ টাকা কম দামে বিক্রি করছেন তারা। আর সপ্তাহ আগে এক বস্তা চাল কিনেছি ৩ হাজার ২০০ টাকা বস্তা বর্তমানে ওই বস্তা কিনতে হচ্ছে ৩ হাজার ১০০ টাকা। ক্রেতা ও বিক্রেতা মনে করছেন অভিযান চলমান থাকলে চালের দাম আরও কমে যাবে।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, ইতোমধ্যে অভিযানের ফলে বাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এছাড়া ধান-চালের মজুত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে প্রশাসন ও খাদ্য অধিদপ্তরের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে এবং তা চলমান থাকবে। যেখানে ধান-চালের মজুতের বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে সেখানে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।