জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে বছরে স্বর্ণের চাহিদা ২০ টন। কিন্তু গত ১০ মাসে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রীদের লাগেজেই এসেছে ৫৪ টন স্বর্ণ। ব্যাগেজ রুলসে আনা এসব স্বর্ণ দিয়েই চলছে দেশের স্বর্ণের বাজার।
যথাযথ প্রক্রিয়ায় স্বর্ণ আমদানি না হওয়ায় তা কোথায় ব্যবহার হচ্ছে তা জানা যাচ্ছে না। ফলে গড়ে উঠছে না বাজার। প্রবাসীদের মাধ্যমে বিপুল পরিমান স্বর্ণ দেশে আসায় বিমানবন্দরের সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।
স্বর্ণ নীতিমালায় ১৮টি কোম্পানিকে ডিলারশীপ ও একটি ব্যাংকের মাধ্যমে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তবে অতিরিক্ত ভ্যাট ও ট্যাক্সের অজুহাতে দেশে ডিলারশীপের মাধ্যমে দুই বছরে স্বর্ণ আমদানি হয়েছে মাত্র ২০০ কেজি।
কাস্টম কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, গত ১০ মাসে ব্যাগেজ রুলসের আওতায় দেশে স্বর্ণের বার এসেছে ৫৪ টন। আর তৈরিকৃত গহনার পরিমানও প্রায় অর্ধেক। যার বাজার মূল্য ৪০ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের কমিশনার একে এম নুরুল হুদা আজাদ বলেন, ‘৪ হাজার কেজি স্বর্ণ প্রতি মাসে আসে। আমরা মনে করি, এটি এভাবে না এসে, যারা অথরাইজড ডিলার তাদের মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলে যদি আমদানি হয়ে আসতো সেটা বরং দেশের জন্য এবং এই স্বর্ণ ব্যবস্থাপনা ও স্বর্ণনীতি বাস্তবায়নে সুবিধাজনক হতো।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে স্বর্ণ বেচা কেনার উপর ভ্যাট নির্ধারিত রয়েছে ৩ শতাংশ হারে। সে তুলনায় দেশে ৫ শতাংশ। এছাড়া ব্যাগেজ রুলসের সুবিধা নিয়ে প্রবাসীদের ক্যারিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন কিছু ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের ভ্যাট, ট্যাক্স, সরকারের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় লোকাল মার্কেটে যে দাম তারচেয়ে বেশি দাম পড়ে যায়। এখন লোকাল মার্কেটে যেটা কম দামে পাওয়া যায় সেটা বেশি দাম পড়ে গেলে কিভাবে চলবে। বুলিয়ানদের কাছ থেকে বা পোদ্দারদের কাছ থেকে যদি আমি গোল্ড কিনি, তারা আমাকে কোনো মানি রিসিট দেবে না।’
এছাড়া তৈরিকৃত স্বর্ণালঙ্কার দেশের বাজারে প্রবেশ করায় স্বর্ণ কারিগররাও কাজ হারাচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।