জুমবাংলা ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে তার পরিবারকে অনুমতি দেয়নি সরকার। খবর বিবিসি বাংলার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান রবিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাকে এই অনুমতি দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই মতামত দেওয়া হয়েছে এবং এ কারণে তাদের আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই সিদ্ধান্তের কথা তাদেরকে এখন জানিয়ে দেওয়া হবে।”
এর আগে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে সরকারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খালেদা জিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শনিবার খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফার পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস নেগেটিভ ফলাফল আসে বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
তাহলে কি এবিষয়ে মানবিক দিকের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে না- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে মি. খান বলেন, “মানবিক বিষয় দেখবো বলেই তো আমরা পাঠিয়েছি যে আইনের কোন জায়গায় তাকে (এই সুযোগ) দেওয়া যায় কিনা এবং আইনের মধ্যে যে সুযোগ নাই সেটা আইন মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছে।”
“মানবিকতার কথা বিবেচনা করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে সাজা স্থগিত রেখে বাসায় চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ দিয়েছিলেন,” বলেন তিনি।
এর আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলো সরকার তাতে বলা হয়েছিলো মুক্তি পেয়ে মিসেস জিয়াকে বাসাতেই থাকতে হবে এবং এ সময় তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়েছিলেন মিসেস জিয়া।
এরপর প্রথমে সেপ্টেম্বরে ও পরে চলতি বছরের মার্চে আবারো ছয় মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।