আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্কে রয়েছে চীনসহ পুরো বিশ্ব। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, জার্মানি, রাশিয়া, কানাডাসহ বিশ্বের বহু দেশ চীন থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। করোনাভাইরাস আতঙ্কে সবাই যখন চীন থেকে নিজের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে, ঠিক সে সময়ে ইউক্রেনে ঘটেছে উলটো ঘটনা। সেখানে নাগরিকদের ফেরানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ফেরত ৪৫ ইউক্রেনীয় ও ২৭ বিদেশিকে ছয়টি বাসে করে রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে দেশটির নাগরিকরা। তাদের আশঙ্কা, চীন থেকে ফেরা ব্যক্তিদের মাধ্যমে ইউক্রেনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ইউক্রেনে বিক্ষোভকারীরা শুধু বিক্ষোভের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তারা চীন ফেরতদের বহনকারী বাসে পাথর নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় সড়কে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চেষ্টায় ওই এলাকার রাস্তা খালি করা সম্ভব হয়।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোরিয়ানা স্কলেটস্কা জানিয়েছেন, চীন ফেরতদের কেউই অসুস্থ নয়। তারপরও তাদের কিয়েভের নোভি সানঝরি এলাকায় একটি হাসপাতালে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বলে দাবি করা একটি ভুয়া ইমেইল অ্যাড্রেস থেকে লোকজনকে মেইল করে বলা হয়েছে, চীনফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, চীন ফেরতদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কারও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়নি। তবে ভুয়া মেইল পেয়ে লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর চালায় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।