Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home চীন-ভারত সংঘাত: কার শক্তি কতটা, কোন দেশ কার পক্ষ নেবে
    আন্তর্জাতিক

    চীন-ভারত সংঘাত: কার শক্তি কতটা, কোন দেশ কার পক্ষ নেবে

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কJune 17, 20209 Mins Read
    Advertisement

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীন এবং ভারতের মধ্যে বড় ধরণের কনভেনশনাল বা প্রথাগত সম্মুখ লড়াই হয়েছিল একবারই, ১৯৬২ সালে। কিন্তু ঐ যুদ্ধের পর বিগত দশকগুলোতে এশিয়ার এই দুটি দেশ বিপুল সমরাস্ত্র সম্ভার গড়ে তুলেছে, পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে বৈরিতাও বেড়ে চলেছে। খবর বিবিসি বাংলার।

    লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে সোমবার রাতে দু‌’পক্ষেই বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা যেন হঠাৎ বহুগুণ বেড়ে গেছে।

    এই দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশংকা কতটা? বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এবং পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধে গেলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে? ভারত বা চীন- কেউই কি আসলে এরকম একটা যুদ্ধ চায়? আর এরকম সংঘাতে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলো কেন উভয় সংকটে পড়বে?

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডঃ মাহমুদ আলির সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসি বাংলার মিজানুর রহমান খান। চীন-ভারত সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতে গুরুত্বপূর্ণ নয়টি প্রশ্ন নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণ:

    চীন-ভারত সংঘাত কতটা উদ্বেগজনক?

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সীমান্তের তিনটি এলাকাতে চীনা এবং ভারতীয় সৈন্যরা নিজেদের শক্তি জোরদার করেছে। ভারত এবং চীনের মধ্যে যদিও সীমান্ত চিহ্নিতকরণ হয়নি, দু‌’পক্ষের মধ্যে কয়েকবার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হয়েছিল যে বর্তমানে যে পরিস্থিতি, সেটা লংঘন করা হবে না। কেউই বিদ্যমান পরিস্থিতি পাল্টানোর চেষ্টা করবেন না। এখন সোমবার রাতে যে ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে চীনা এবং ভারতীয়, দুপক্ষের বক্তব্য একেবারে পরস্পরবিরোধী। দু’পক্ষই বলছেন যে অন্য পক্ষের সেনাবাহিনী তাদের আগের অবস্থান থেকে সামনে এগিয়ে এসে ভূমি দখল করেছেন এবং এবং সেকারণেই হাতাহাতি-মারামারি হয়েছে। কাজেই পরিস্থিতি একটু ঘোলাটে। দুপক্ষই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রাখছে। কারা যে কোন এলাকায় ঢুকেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে দুপক্ষই তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা ছেড়ে দিতে একেবারেই রাজি নয় এবং প্রয়োজনবোধে তারা হাতাহাতি করবেন। এবং সেটা তারা করেছেন। তবে গোলাগুলি হয়েছে এমনটা শোনা যায়নি।

    এটা কি শুধুই সীমান্ত বিরোধ, নাকি এর পেছনে আরো বড় কিছু আছে?

    সেনাবাহিনী বা সশস্ত্রবাহিনী যা কিছু করে, তার পেছনে একটা রাজনৈতিক-কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট থাকে। বর্তমানে ভারত এবং চীনের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, সেটা বিশ্বজনীন প্রেক্ষাপটে সেটা বেশ বৈরি। বিশ্ব রাজনীতিতে এই দু্‌ই দেশের অবস্থান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরে। আন্তর্জাতিকভাবে চীনের সেই অর্থে কোন মিত্র নেই। তাদের একটি মিত্রদেশ হচ্ছে পাকিস্তান। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ২০ বছর ধরে বলা যায় ভারতের মিত্র রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৯-২০০০ সাল হতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের সম্পর্ক ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এর মধ্যে সামরিক সহযোগিতার ব্যাপারটিও রয়েছে। এই সহযোগিতা গত দুই দশকে অনেক দৃঢ় হয়েছে। ভারত বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কয়েকটি সামরিক জোটের অংশগ্রহণ করেছে।

    অন্যদিকে যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক গত কয়েক বছরে বেশ বৈরি হয়ে গেছে, ভারত-মার্কিন সামরিক সহযোগিতাকে তাই তারা মোটেই পছন্দ করছে না। চীন এবং ভারতের মধ্যে বৈরিতার এরকম একটা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট আছে। এই প্রেক্ষাপটে চীন-ভারত সম্পর্ক ক্রমশ শত্রুভাবাপন্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই আলোকে দেখতে গেলে এই সীমান্ত বিরোধ তাদের মধ্যকার শত্রুতার একটি প্রকাশ মাত্র।

    চীন-ভারতের এই উত্তেজনা কি বৃহত্তর সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে?

    চীন এবং ভারত, দুটি দেশই গত বছর দশেক ধরে তাদের সীমান্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছে। চীন এটা করেছে তিব্বতে। আর ভারত করেছে দক্ষিণের অরুণাচল প্রদেশে এবং লাদাখ অঞ্চলে। দুটি দেশই এসব জায়গায় রাস্তাঘাট করেছে, বিমান ঘাঁটি বানিয়েছে। রেডার স্টেশন বসিয়েছে। সৈন্য সমাবেশ বৃদ্ধি করেছে। দু’পক্ষই বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে। সেখানে সামরিক মহড়াও দিয়েছে দুই দেশ। কাজেই একটা যুদ্ধংদেহী মনোভাব সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেখা যাচ্ছে।

    এর পাশাপাশি চীন এবং ভারত, দুই দেশেই জাতীয়তাবাদী একটি মনোভাব জোরালো হয়ে উঠেছে। দুটি দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো দেখলে, বিশেষ করে ভারতে, এটা বেশ চোখে পড়বে। সেখানে চীনকে একটি বৈরি দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে অনেক কথা বলা হচ্ছে। চীনের সংবাদমাধ্যমগুলোতে অবশ্য ভারত অতটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। কিন্তু তারপরও যখনই ভারত সম্পর্কে কথা উঠছে, সেখানে জাতীয়তাবাদী একটা মনোভাব বেশ স্পষ্ট। সুতরাং এটা বলা যায়, রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিকভাবে যে বৈশ্বিক মেরুকরণ, সেখানে ভারত এবং চিনের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে।

    দ্বিতীয়ত‍: দুই দেশেই একটা জাতীয়তাবাদী আকাঙ্খা বা চিন্তাধারা বেশ জোরদার হয়ে উঠেছে।

    তৃতীয়ত: যেসব সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী সামনাসামনি মোতায়েন আছে, সেখানে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। কাজেই সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল।

    তার মানে কী দুই দেশ সম্মুখ যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে?

    দুটি দেশেরই স্বার্থ হচ্ছে যুদ্ধে না জড়ানো। কারণ যুদ্ধ হলে ক্ষয়ক্ষতি বেশ ব্যাপক হবে। দুটি দেশেরই ক্ষতি হবে। কাজেই দুই দেশই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাইছে।

    চীন এবং ভারত উভয়েরই পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। দুই দেশের সংঘাতে যদি ক্রমবর্ধমান হারে ভয়ংকর সমরাস্ত্রের ব্যবহার হতে থাকে, দুই দেশই আসলে পরস্পরকে ধ্বংস করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।

    কাজেই আমার ধারণা কোন দেশই সেরকম ব্যাপকতর কোন সংঘাতে জড়াতে চায় না। কারণ শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধের ফল কী দাঁড়াবে সেটা কেউই এখন পর্যন্ত বলতে পারে না।

    দ্বিতীয়ত ভারত এবং চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এখন ব্যাপক আকার নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী একটা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে কোন দেশই এরকম একটা সম্পর্ক ক্ষুন্ন করতে চাইবে না।

    তৃতীয়ত, যুদ্ধ যদি খুব বেশি ছড়িয়ে পড়ে, সেটা যে ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে সেটা দুপক্ষই বোঝেন। কারণ দুটি দেশই পারমানবিক শক্তিধর। কাজেই তাদের চেষ্টা থাকবে উত্তেজনা কমিয়ে আনার।

    কিন্তু ১৯৬২ সালে এরকম সীমান্ত বিরোধ থেকেই তো দুই দেশ প্রথাগত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল?
    ১৯৬২ সালের যুদ্ধের সময়ের প্রেক্ষাপট ছিল একেবারেই অন্যরকম।

    ১৯৪৭ সালে ভারত সরকার মার্কিন বিমানবাহিনীকে ৬টি বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিয়েছিল। এই ঘাঁটিগুলো থেকে মার্কিন বাহিনী চীনের ভেতর কমিউনিস্ট বাহিনির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। এর পাশাপাশি ১৯৫০ সালে যখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বা গণপ্রজাতন্ত্রী চীন তিব্বত পুর্নদখল করে, তখন সেখানে একটি গেরিলা গোষ্ঠী চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালায়। এই গেরিলা গোষ্ঠীকে গোপনে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র মদত যুগিয়েছিল। সেই সংঘাতের প্রেক্ষাপটেই কিন্তু ১৯৬২ সালের যুদ্ধ হয়েছিল।

    কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো দুটি দেশের কোনটিই সীমান্তরেখা মেনে নেয়নি। চীনের হিসেব অনুযায়ী অষ্টাদশ শতাব্দীতে যে সীমান্তরেখা ছিল, তাতে অরুণাচল প্রদেশ এবং লাদাখের কিছু অংশ তৎকালীন চীন সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ব্রিটিশরা যখন ১৯১৩ সালে সিমলা চুক্তি করে একটি সীমান্তরেখা একেঁছিল, ম্যাকমোহন লাইন এবং অন্যান্য লাইন, সেটা চীন কখনো মানেনি। কিন্তু ব্রিটিশদের চিহ্নিত সেই সীমারেখাই ভারত বরাবার দাবি করেছে।

    কাজেই দুপক্ষের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে ব্যাপক মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু মতবিরোধ মানেই যে যুদ্ধ, তা নয়। যুদ্ধ তখনই হয়, যখন দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের নেতারা সিদ্ধান্ত নেন যে তাদের পক্ষে অন্যপক্ষের অবস্থান আর মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তখন যুদ্ধ বাধে।

    কিন্তু দুই দেশ যদি সত্যিই যুদ্ধে জড়িয়ে যায়, তখন সামরিক শক্তির দিক থেকে কে বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে?
    দুটি দেশেরই বিপুল অস্ত্রসম্ভার রয়েছে এবং এসব অস্ত্রশস্ত্র বেশ আধুনিক। গত ২০ বছর ধরে দুটি দেশ শুধু নিজেরাই সমরাস্ত্র তৈরি করেনি, একই সঙ্গে অস্ত্র আমদানিও করেছে। বিশেষ করে ভারত পরপর পাঁচ বছর বিশ্বের সবচাইতে বেশি অস্ত্র আমদানিকারক দেশের স্থান দখল করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইসরায়েল থেকে তারা অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্র এনেছে। তারা নিজেরাও বিদেশি প্রযুক্তি এনে নিজেরা অস্ত্র তৈরি করেছে। একইভাবে চীন রাশিয়া থেকে কিছু অস্ত্র কিনেছে, কিন্তু বেশিরভাগ অস্ত্র তারা এখন নিজেরা উৎপাদন করে ।

    কাজেই অত্যাধুনিক অস্ত্র দুপক্ষেরই আছে। কিন্তু সমস্যাটা হলো গিরিসংকুল পার্বত্য এলাকায় তারা সেইসব অস্ত্র কতটা ব্যবহার করতে পারবে ।

    বিমান বহর এবং ক্ষেপণাস্ত্র হয়তো তারা ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু যাকে আমরা সেনাবাহিনী বলি, যারা মাটিতে যুদ্ধ করে, তারা তাদের গোলন্দাজ, সাঁজোয়া বা ট্যাংক বহর খুব একটা ব্যবহার করতে পারবে বলে মনে হয়না।

    গত কদিন ধরে গণমাধ্যমে, বিশেষ করে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে দুই দেশের সামরিক শক্তির অনেক তুলনামূলক হিসেব দেয়া হচ্ছে। তিব্বত আর শিনজিয়াং অঞ্চলে চীনের কত যুদ্ধবিমান, কত সৈন্য আর ট্যাংক আছে, তার পাশাপাশি ভারতের

    সীমান্তবর্তী এলাকায় যে কমান্ডগুলো রয়েছে, সেখানে কত সৈনিক আর সরঞ্জাম আছে।

    কিন্তু এ ধরণের অংকের হিসেব আসলে একেবারেই সঠিক নয়। কেননা যার যত সৈন্যই থাকুক, নানা কারণে সব সৈন্য কোন দেশই মোতায়েন করতে পারে না। কারণ যেখানে এই যুদ্ধ হবে, সেখানকার ভূপ্রকৃতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও বিবেচনায় নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, যে জায়গা নিয়ে বিরোধ, সেটা কোন দেশের কাছে কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটির জন্য তারা কতটুকু পর্যন্ত বলপ্রয়োগ করতে প্রস্তুত, সেটাই আসল প্রশ্ন।

    কাজেই কোন সামরিক সংঘাতে এই প্রশ্নটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে সামরিক শক্তির চেয়ে।

    যদি দুদেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধেই যায়, তখন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া বা অন্য ক্ষমতাধর দেশগুলো কে কী ভূমিকা নেবে?
    সাম্প্রতিক কালে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র দেশগুলোর বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। যেমন জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইসরায়েল এবং ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে। ভারতের এসব দেশের সামরিক সহযোগিতা বেশ ঘনিষ্ঠ। কাজেই এসব দেশ হয়তো রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সামরিকভাবে ভারতকে সমর্থন দেবে। অন্যদিকে চীনের সেরকম আন্তর্জাতিক মিত্র নেই। রাশিয়া চীনের বন্ধুরাষ্ট্র, কিন্তু মনে রাখতে হবে অতীতে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতেরও ঘনিষ্ঠ মৈত্রী ছিল। ১৯৬২ সালে রাশিয়া কিন্তু চীনের বদলে ভারতকেই সমর্থন করেছিল। কাজেই প্রত্যেকটি দেশ হয়তো এখানে তার নিজের স্বার্থটাকে আগে দেখবে।

    দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের মতো দেশের সঙ্গে চীন এবং ভারত, উভয় দেশেরই সুসম্পর্ক আছে। দুই দেশের মধ্যে যদি যুদ্ধ হয়, তখন সরাসরি কোনো পক্ষ নেওয়ার জন্য কি চাপ বাড়বে বাংলাদেশের উপর?

    এধরণের একটা চাপ গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ওপর আছে। যেমন ২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছিলেন যে চীনের সাহায্যে তারা চট্টগ্রামের গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করবেন। কিন্তু এই প্রস্তাব যখন বাংলাদেশ চীনের কাছে দেয়, তখন চীন সেটি গ্রহণ করেছিল। এই বন্দর নির্মাণে বাংলাদেশের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র,ভারত এবং জাপানের চাপের মুখে বাংলাদেশকে সেই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিতে হয়। পরে বাংলাদেশ জাপানের সাহায্য নিয়ে চট্টগ্রামে সামুদ্রিক বন্দর নির্মাণ করছে।

    এধরণের চাপ কিন্তু বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরেই অনুভব করছে। এটার মোকাবেলায় বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে তাদের সাধ্যমত কাজ করে চলেছে। তবে যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশের জন্য পরিস্থিতি যে বেশ জটিল হয়ে পড়বে, এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই।

    বাংলাদেশের অনেক সমরাস্ত্র চীন থেকে এসেছে। বাংলাদেশি সেনা অফিসাররা চীন থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। ভারতের সঙ্গেও বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, কিন্তু সেটা রাজনৈতিক সম্পর্ক, সামরিক নয়। এখনো পর্যন্ত ভারত থেকে বাংলাদেশ সে পরিমাণ সমরাস্ত্র কেনেনি। কাজেই এটা একটা জটিল সম্পর্ক। অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি- সব দিক দিয়ে।

    কাজেই বাংলাদেশের মতো দেশগুলো, চীন এবং ভারত- দুই দেশের সঙ্গেই যাদের এরকম সম্পর্ক, তাদের জন্য বেশ জটিল একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে সন্দেহ নেই।

    স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে যুদ্ধ এড়ানোর জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। যেমন হটলাইনে দুই দেশের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে সরাসরি কথা বলে উত্তেজনা প্রশমনের ব্যবস্থা রেখেছিলেন। চীন এবং ভারতের বেলায় কি সেরকম কোন মেকানিজম আছে?

    এরকম ব্যবস্থা দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে আঞ্চলিক অধিনায়ক পর্যায়ে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে এরকম যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিকভাবে যারা আসলে সিদ্ধান্তগুলো নেবেন, তাদের মধ্যে যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা এখনো আছে বলে মনে হয়না। চীনের নেতা শি জিনপিং যখন সম্প্রতি ভারত সফরে যান, তখন এরকম একটা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব উঠেছিল। তবে সেটি বাস্তবায়িত হয়েছিল কীনা জানা যায়নি।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আন্তর্জাতিক কতটা কার কোন চীন-ভারত দেশ নেবে পক্ষ শক্তি সংঘাত
    Related Posts
    Iran

    ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

    July 4, 2025
    geo

    সংঘাতের পর ২ অঞ্চল ছাড়া আকাশসীমা খুলে দিলো ইরান

    July 4, 2025

    তালেবান সরকারকে প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো রাশিয়া

    July 4, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Bangladesh Post Office

    সর্বোচ্চ মুনাফা দিচ্ছে ডাকঘর, টাকা জমা রাখার সঠিক নিয়ম

    গোপনীয়তা রক্ষা করার ইসলামিক দিক

    গোপনীয়তা রক্ষা করার ইসলামিক দিক:জীবনে প্রয়োগ করুন

    বিষধর সাপ

    বিষধর সাপ কিনা বুঝার উপায়, কামড়ালেই কী করবেন

    সহজ উপায়ে ইংরেজি শেখা

    সহজ উপায়ে ইংরেজি শেখা: শুরু করুন আজই!

    ওয়েব সিরিজ

    Riti Riwaj Pinjara : নেট দুনিয়া ঝড় তুললো নতুন এই ওয়েব সিরিজ!

    ভার্চুয়াল সম্পর্কের বাস্তবতা

    ভার্চুয়াল সম্পর্কের বাস্তবতা: প্রেম নাকি প্রতারণা?

    walkman-part-3-web-series

    সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ভয় আর রোমান্সে ভরপুর এই ওয়েব সিরিজ!

    Swastika Dutta

    শুটিং চলাকালীন মারাত্মক যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন অভিনেত্রী

    ত্বক উজ্জ্বল করার দোয়া

    ত্বক উজ্জ্বল করার দোয়া:চিরন্তন সৌন্দর্য রহস্য

    দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর উপায়

    দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর উপায়: ঘরোয়া সমাধান!

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.