জুমাবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া ওবায়েদ নামের ৪৭দিন বয়সী শিশুকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (০৬ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নূর জাহান নামে এক কিশোরী শিশুটিকে পেয়ে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। শিশু ওবায়েদ নবীনগর উপজেলার মাঝিকাড়া গ্রামের কাউসার মিয়ার ছেলে। নূর জাহান জেলা শহরের মেড্ডা এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় লোকজন, শিশুর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির মায়ের নাম সাবিনা আক্তার। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সাবিনা নিজের আলট্রাসনোগ্রাফি করতে শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে একাই নবীনগর উপজেলা সদরের আহমদ মেডিকেল হাসপাতালে যান। সেখানকার এক চিকিৎসক তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পরামর্শ দেন। সেখানে গিয়ে রিসিপশনে আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষার টাকা জমা দেন সাবিনা। আল্ট্রসানোগ্রাফি কক্ষে প্রবেশের আগে সাবিনা নিজের ৪৭দিন বয়সী সন্তানকে পাশে বসা বোরকা পড়া ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অপরিচিত এক মহিলার কোলে শিশুটিকে রেখে যান।
এদিকে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি শেষে কক্ষ থেকে বের হয়ে শিশুসহ অপরিচিত ওই নারী সেখানে আর পাননি তিনি। হাসপাতাল ও এর আশপাশ এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ হওয়ার পর শিশুটির মা সাবিনা প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে উন্মাদ পাগলের মতো হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ নিখোঁজ শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিন্তু কোথাও শিশু ও ওই মহিলার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
রবিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নূর জাহান নামে কলেজ পড়ুয়া এক কিশোরী জেলা শহরের হালদার পাড়ার সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন এলাকার কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় শিশুটিকে দেখতে পায়। নূর জাহান শিশুটিকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নূর জাহান তার মায়ের সঙ্গে শিশুটিকে সদর থানায় নিয়ে যান। পরে শিশুটিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে নূর জাহান। পরে পুলিশ শিশুটিকে সঙ্গে সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, নূর জাহান নামে কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী শিশুটিকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসে। শিশুটি সুস্থ আছে। তবে ওই মহিলাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শিশুটিকে জেলা শহরে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয়ধারী ওই মহিলা শিশুটিকে জেলা শহরের একটি ঝোপঝাড়ের রেখে চলে যায়। তবে শিশুটির মা তার সন্তানকে শনাক্ত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।