জুমবাংলা ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গায় আপন ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার রায়ে আলম বিশ্বাস (৫০) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহা: রবিউল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। রায়ে দুই জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।
দন্ডপ্রাপ্ত আলম বিশ্বাস দামুড়হুদা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল সকালে গাঁজা খাওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে দামুড়হুদা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আলম বিশ্বাস ও তার ভাই আব্দুল রাজ্জাকের পরিবার বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দুই পরিবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আব্দুল রাজ্জাকের মেজ ছেলে শাহিন বিশ্বাস ধারলো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুল রাজ্জাক বাদী হয়ে তার আপন ভাই আলম বিশ্বাস, তার ছেলে ডালিম বিশ্বাস ও প্রতিবেশী আরিফ হোসেনকে আসামী করে দামুড়হুদা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
দামুড়হুদা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাহের ভুঁইয়া তদন্ত শেষে ৩জন আসামীকেই অভিযুক্ত করে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র প্রেরণ করেন। আলোচিত এ মামলার বিচার কার্য শুরু হলে বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় ২৪ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন করেন। সোমবার রায় ঘোষনার নির্ধারিত দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহা: রবিউল ইসলাম শাহীন হত্যা মামলায় তিন আসামীর মধ্যে আলম বিশ্বাসকে দোষী স্যাবস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদেন্ড দন্ডিত করেন। একই সাথে অপর দুই আসামী ডালিম বিশ্বাস ও আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের দুই জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।