জুমবাংলা ডেস্ক: হালকা লাল-সাদা রঙের কাশ্মীরি জাতের ছাগল। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৮ ইঞ্চি (লেজ থেকে মাথা পর্যন্ত) উচ্চতা ৩৬ ইঞ্চি। বয়স আড়াই বছর। ছাগলটির (খাসি) ওজন ৮৬ কেজি (২ মণ ৬ কেজি)। আকৃতি বড় হলেও ছাগলটি খুবই শান্ত স্বভাবের। শখ করে ঐ ছাগলের নাম রাখা হয়েছে ‘বাদশা’। আকৃতি বড় ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় এরই মধ্যে এ খাসি ছাগলটি এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। এটি দেখতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন প্রতিদিন ভিড় করছেন। বর্তমানে কোরবানির হাটে ছাগলটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৮৫ হাজার টাকা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের দুর্গাপুর এলাকার মো. গোলাম মাওলা নামে এক কৃষক ঐ ছাগলটি লালন-পালন করেছেন। তিনি কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এই খাসিটি বিক্রি করবেন। এরই মধ্যে ছাগলটি কেনার জন্য বিভিন্ন এলাকার লোকজন জন্য ভিড় করছেন স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার মধ্যে এই খাসি ছাগলটি সবচেয়ে বড়। দেখতেও অসাধারণ।
গোলাম মাওলা জানান, প্রায় ৬ মাস আগে তিনি শখ করে ছাগলটি ১৮ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। তখন এর ওজন ছিল ৩০ কেজির উপর। কেনার পর থেকে তিনি ছাগলটি খুব যত্নে লালন-পালন করছেন। এমনকি তিনি যে ঘরে ঘুমান, শখের বাদশাও সেই ঘরেই ঘুমায়।
তিনি আরো জানান, বাদশাকে প্রতিদিন খুদের ভাত, গমের ভুসি, খেসারির ভুসি, খৈল, ডাল, শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন খাদ্য খাওয়ানো হয়। এছাড়া নিয়মিত প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন বলেও জানান গোলাম মাওলা। নিয়মিত পরিচর্যা করায় ছাগলটির আকৃতি বেড়েছে। বর্তমানে এই ছাগলটির ওজন ৮৬ কেজি। বাড়িতে সবাই ছাগলটিকে খুব আদর যত্ন করেন। ছাগলটিকে প্রতিদিন প্রায় দেড়শ টাকার খাবার দিতে হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে খাসিটির ওজন নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বছর কোরবানির ঈদে এটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, অতি যত্ন সহকারে ছাগলটিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। সবসময় বাদশাহর অতিরিক্ত যত্ন নিচ্ছেন পরিবারের লোকজন। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত এটাই সব চাইতে বড় ছাগল। এই বিশাল আকারের ছাগলটি দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন গোলাম মাওলার বাড়ি আসছেন।
বিশাল আকৃতির বাদশাকে দেখতে আসা পৌর শহরের তারাগন এলাকার কাজী তামিম বলেন, লোকমুখে শুনে এই ছাগলটি দেখতে এখানে আসা। এই প্রথম এত বড় ছাগল দেখলাম। ছাগলটির নাম যেমন বাদশা দেখতেও বাদশার মতোই।
মো. মোবারক হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, এত বড় ছাগল সবসময় দেখা যায় না। আমার ছেলেসহ সকলের পছন্দ হয়েছে এই ছাগলটি। দেখি কয়েকদিনের মধ্যে এটা কেনা যায় কিনা।
আখাউড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুয়েল মজুমদার বলেন, আমার জানা মতে এত বড় খাসি ছাগল উপজেলায় আর কোথাও নেই। উন্নত জাতের ছাগলটিকে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে। তিনি সব সময় এটির খোঁজখবর নিয়েছেন বলেও জানান। এছাড়া যেকোনো সমস্যায় সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।