ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় যারা

রাজনীতি ডেস্ক : পুনঃতফসিল অনুসারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর। এ কাউন্সিলকে সামনে রেখে গত শনি ও রোববার ছিলো মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের দিন। এই দু’দিনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১১০টি। ফলে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিলো উৎসবমুখর।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকালে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন করতে দেখা গেছে নয়াপল্টন এলাকায়। তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন বিএনপির কার্যালয়।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে উঠে পড়ে লেগেছেন নিয়মিত ছাত্রনেতারা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিভিন্ন জেলা শাখা সফর করে কাউন্সিলরদের সঙ্গে দেখাও করছেন তারা। পাশাপাশি ফোন অথবা ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে জানান দিচ্ছেন নিজের প্রার্থিতা। কেউ কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও চালাচ্ছেন প্রচারণা।

বিএনপির সহযোগী ছাত্র সংগঠনটির সভাপতি পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি সাজিদ হাসান বাবু, বৃত্তি ও ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খান, সহ সম্পাদক ফজলুর রহমান খোকন, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মামুন খান, সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিঙ্কন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল আলম টিটু ও সদস্য মোহাম্মদ এরশাদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি তানভির রেজা রুবেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিল হাসান, ইকবাল হোসেন শ্যামল ও শাহনেওয়াজ, বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. মুতাসিম বিল্লাহ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিয়া পাঠান পাপন, ঢাবির জসিম উদ্দিন হলের খায়রুল আলম সুজন।

পুনঃতফসিল অনুসারে, এবার ছাত্রদলের মনোনয়ন ফরমের দাম ছিল মাত্র ১০০ টাকা। আগামী ১৯ ও ২০ আগস্ট মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হবে। ৩১ আগস্ট প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২২-২৬ আগস্ট যাচাই-বাছাই শেষে ২ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটের জন্য প্রচারণা চালাতে পারবেন।