জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঈদুল আযহার আগে ছাগল ছিনতাইয়ের ঘটনায় ওই থানার ছাত্রলীগ সভাপতিসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে তিনজন কারাগারে রয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
তবে গ্রেফতার হওয়া তিনজন এক দিনের রিমান্ডে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের টেলিযোগাযোগ আইনেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং রিমান্ড প্রার্থনা করা হয়েছে।
এদিকে ১০ আগস্ট রাতে ছাগল ছিনতাইয়ের ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাইফুল ইসলাম বলেন, ১০ আগস্ট রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ২১২টি ছাগল নিয়ে তাদের ট্রাক ঢাকায় পৌঁছায়। এসময় ট্রাকে চালক-হেলপার ছাড়াও দুই আড়তদার। সাইফুল ইসলাম ছিলেন যাত্রাবাড়ীতে।
তিনি জানা, ছাগলগুলো নিয়ে যাত্রাবাড়ীতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাকটি শ্যামলী শিশুমেলার সামনে পৌঁছলে ১০-১২ জন যুবক সেটির পথরোধ করে দাঁড়ান। তখন ওই যুবকদের হাতে ওয়াকিটকি ছিল।
সাইফুল জানান, ওয়াকিটকি দেখে ট্রাক চালক ভেবেছিলেন, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। সে কারণে ট্রাক থামিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দেখতে পান ঘটনা ভিন্ন।
এসময় মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে সাইফুল ইসলাম দ্রুত সেখানে চলে আসেন। সাউফুল জানান, রাত ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। ৯৯৯–এ ফোনও করেন। কিন্তু পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাননি।
বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ছাগলগুলোকে ট্রাক থেকে নামিয়ে একটি ক্লাব ঘরে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম, বাবু খান, শেখ সোলেমান, মো. নুরুজ্জামান, ফারুক বিশ্বাস, মোহাম্মদ মাসুদ মণ্ডলকে আটকে রাখেন।
এভাবে তারা পরদিন বেলা তিনটা পর্যন্ত জিম্মি থাকেন। পরে তিনটার দিকে র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে তিন তরুণকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব ছাগল, ট্রাক, ওয়াকিটকিসহ থানায় হস্তান্তর করেন।
মামলার বিষয়টি একটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস (জিজি বিশ্বাস)।
তিনি জানান, এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। র্যাব পুলিশের কাছে মামলাটি হস্তান্তর করেছে। এরমধ্যে ছাগল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম চাঁদার দাবিতে ছাগল ছিনতাইয়ের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন।
হাতেনাতে আটকরা র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ছিনতাই চেষ্টার ঘটনার মোহাম্মদপুর থানার ছাত্রলীগ সভাপতি মুজাহিদ আজমী তান্না, জসিম, ইয়াসির আরাফাত, রায়হান, জাহিদ, রাতুল, তানভীর, হীরা, তন্ময় ও পারভেজ নামে কয়েকজন জড়িত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।