জুমবাংলা ডেস্ক: সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে (১৯) গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এই দাবি জানান তারা।
এমসি কলেজের সাবেক ছাত্র ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের দাবি একটাই, আসামিদের গ্রেপ্তার করা হোক। এই ঘটনায় আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর কাছে কেউ কোনো তদবির করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ইতোমধে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে দিয়েছি অপরাধী যারাই হোক, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। আমরা অপরাধীদের শাস্তি চাই।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন জানান, ছাত্রাবাসের ঘটনাটি সত্যি লজ্জাজনক। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তিনি জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনা আমাদের মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলেছে। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কলেজে বেড়াতে যাওয়া দম্পতিকে ধরে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মী। পরে তারা স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ করে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে, তবে এর আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর মধ্যরাতে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ৯ জনকে আসামি করে ওই তরুণীর স্বামী বাদি হয়ে নগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), সাইফুর রহমান (২৮), রবিউল ইসলাম (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮)। এদের মধ্যে অর্জুন ও তারেক (২৮) বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে। আসামিদের মধ্যে সাইফুরের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের দিরাইয়ে, মাছুমের কানাইঘাটে, অর্জুনের জকিগঞ্জে, রনির হবিগঞ্জে এবং তারেকের বাড়ি সুনামগঞ্জে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।