জুমবাংলা ডেস্ক: ছাত্রলীগের ‘অপকর্মের’ জন্য পুরো ছাত্র সমাজকে দায়ী না করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি সোমবার ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিরোধিতা করেছে। খবর ইউএনবি’র।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতির একাংশের অপরাজনীতি তথা সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও রক্তপাতের অজুহাতে সমগ্র ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেয়াটা গভীর মাস্টারপ্লানেরই অংশ।’
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতিকে যারা কলুষিত করেছে, মারামারি-দলাদলিকে যারা উৎসাহ দিয়েছে, ক্যাম্পাসে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা বিস্তারে যারা মদদ দিয়েছে তারাই প্রকৃত ছাত্র রাজনীতিকে মানুষের চোখে হেয় করেছে। তারাই এখন সমগ্র ছাত্র রাজনীতিকে বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ছাত্র সমাজ জনগোষ্ঠীর আলোকিত সম্প্রদায়। তারা আলোকদীপ্ত চোখে রাষ্ট্র ও সমাজের অনাচারগুলো চিহ্নিত করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
‘যুগে যুগে এ ছাত্র সমাজই অন্যায়-অসাম্য-অবিচারের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের শরীরের রক্ত ঝরিয়ে ভাষার অধিকার থেকে শুরু করে স্বাধিকার আন্দোলন ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
ক্ষমতাসীন দল ছাত্র রাজনীতিকে ম্লান করে দিয়েছে দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও শহীদ মিনারে ছাত্রী লাঞ্ছনার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ তাদের যাত্রা শুরু করে। তাদের উত্তরসূরিরাই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে প্রচলিত বিধিবিধানকে তোয়াক্কা না করে নিষ্ঠুর ও সর্বনাশা নির্যাতন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।’
রিজভী দাবি করেন, সরকারের ছত্রছায়ায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন হলে হলে টর্চার সেল গঠন করেছে। ‘ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগ দ্বারা একের পর এক শিক্ষার্থী খুনের ঘটনা ঘটছে। এর ভয়ংকরতম রূপ দৃশ্যমান হলো মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে।’
তিনি দাবি করেন, ছাত্রলীগকে গত কয়েক বছরে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে তারা কোনো মূল্যবোধের ধার ধারেনি। ‘ছাত্রলীগের এ কদাচারের জন্য সমগ্র ছাত্র সমাজ বা ছাত্র রাজনীতি দায়ী হতে পারে না।’
বিএনপির নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের ‘দৌরাত্ম্য’ ও উপদলীয় হানাহানির কারণে সমগ্র ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে একটি নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।
‘সরকার অত্যান্ত পরিকল্পিতভাবেই এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আত্মসম্মানহীন একটি নিপীড়ক সংগঠন ছাড়া ছাত্রলীগ আর কিছুই নয়। তাই ছাত্রলীগের জন্য ছাত্র রাজনীতিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো ঠিক নয়।’
ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর ও চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়াতে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়ে ভোট জালিয়াতি করছে এবং ভোটারদেরও সেখানে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।