জুমবাংলা ডেস্ক : ভোলায় ছেলের সঙ্গে অভিমান করে গায়ে আগুন লাগিয়ে মা আত্মহ’ত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পা্ওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গত দেড় বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর দুই ছেলেকে পড়ালেখা করিয়ে মানুষ করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের পারুল বেগম (৩০)। মঙ্গলবার তিনি জানতে পারেন তার মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছোট ছেলে গত কয়েকদিন ধরে মাদ্রাসায় না গিয়ে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। এমন খবর শুনে ছেলেকে খুঁজতে থাকেন তিনি। বিকেল পর্যন্ত ছেলেকে না পেয়ে রাগে অভিমানে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন পারুল বেগম।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত পারুল ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দালালপুর গ্রামের মৃত ইকবাল পাটোয়ারীর স্ত্রী।
নিহতের ভাই ফরহাদ হোসেন জানান, পারুলের স্বামী ইকবাল পাটোয়ারী মিস্ত্রির কাজ করতেন। দেড় বছর আগে তিনি হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাদের দুই ছেলে রাব্বি (১৯) ও রবিন (১১)। পারুলের স্বপ্ন ছিলো তার দুই ছেলেকে পড়ালেখা করিয়ে ভালো কোনো সরকারি চাকরি করবে।
তিনি বলেন, রাব্বি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়ছে। আর রবিন স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছে। বোনের স্বামীর মৃত্যুর পর রাব্বি ঢাকায় পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়িয়ে ও আমাদের কিছুটা সহযোগিতায় তাদের সংসার চলছিল।
ভোলা সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, ওই নারীর সারা শরীর আগুনে ঝলসে গিয়েছিল। আমরা তাকে বরিশাল শেবাচিমে রেফার করি। কিন্তু সেখানে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) মো. এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।