
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার ছোট একটি শহরের অবকাশ যাপন কেন্দ্রে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের ব্যক্তিগত ট্রেন চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটনের একটি নজরদারি দল। শনিবার (২৫ এপ্রিল) ‘প্রজেক্ট ৩৮’ নামের ওই নজরদারি দলের স্যাটাইলাইটে তোলা ছবি প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের একটি ছোট শহরের অভিজাত এলাকায় কিম জং উনের ট্রেনটি দাঁড়িয়ে আছে।
প্রজেক্ট ৩৮ জানিয়েছে, ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত কিম জং উনের পরিবারের ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত অবকাশ যাপন কেন্দ্র ওনসন কম্পাউন্ডের স্টেশনে তার ব্যক্তিগত ট্রেনটি দেখা যায়। তবে ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ওই ট্রেনে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম ছিলেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনভিত্তিক দল ‘প্রজেক্ট ৩৮’-এর স্যাটেলাইট উত্তর কোরিয়ার উপর নজরদারি করে থাকে।
প্রজেক্ট ৩৮ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রেনটি ওখানে থাকা মানে এই নয় যে, কিম জং উন নিশ্চিতভাবে সেখানে রয়েছেন। তবে এতে মনে হয় আগে যেমনটা জানা গিয়েছিলো, উত্তর কোরিয়ার এই নেতা দেশটির একটি গ্রামের অভিজাত এলাকায় বিশ্রাম নিচ্ছেন- এই তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়লো।
এদিকে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউসিস গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ওনসন কম্পাউন্ডে কিমের ব্যক্তিগত বিশেষ ট্রেনটি রয়েছে। তবে তার ব্যক্তিগত বিমানটি রয়েছে রাজধানী পিংইয়ংয়ে। নিউসিস আরও জানায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে কিম সম্ভবত ওনসন কম্পাউন্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
এর আগে স্থানীয় পত্রিকা ডেইলি এনকে অসমর্থিত সূত্রের বরাতে জানিয়েছিল– গত বছরের আগস্ট থেকেই কিম জং উন হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন, কিন্তু পায়েকতু পাহাড় থেকে ঘুরে আসার পর থেকে তার সেই সমস্যা আরও প্রকট হয়। এ সংবাদের পর উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর অসুস্থ হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন বলে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে। উত্তর কোরিয়া সারাবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকায় তার অসুস্থতার খবরের সত্যতা যাচাই একরকম অসম্ভব। অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য জানতে তদন্ত শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সূত্র জানায়, কিমের অসুস্থতার খবর সত্য নয়।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি কিমের অসুস্থতার খবরটি সত্য নয়’। এদিকে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, কিম জং উন জীবিত আছেন। শীঘ্রই তিনি জনসম্মুখে উপস্থিত হবেন। তবে তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোন তথ্য জানাতে রাজি হয়নি ওই সূত্র।
তবে এরইমধ্যে চীন থেকে একটি চিকিৎসক দল কিম জং উনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ দিতে কোরিয়ায় পৌঁছেছে। এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার এ নেতার স্বাস্থ্য নিয়ে ফের জল্পনা বাড়ে। জল্পনার পালে হাওয়া লাগে যখন চীন সমর্থিত হংকং স্যাটেলাইট টিভি (এইচকেএসটিভি) একজন উপপরিচালক শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে তার ১ কোটি ৫০ লাখ ফলোয়ারের উদ্দেশে জানান- ‘বিশ্বস্ত সূত্র’ থেকে তিনি কিম জং উনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।