গাজীপুর প্রতিনিধি: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী বাংলাদেশে দরকার নেই। আমাদের দেশ অনেক ভালো। এই চার শ্রেণির লোক না থাকলে আমরা অনেক ভালো থাকব।
শনিবার দুপুরে গাজীপুরের চৌরাস্তায় চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সমবেত সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, আসেন পরিবার-কমিউনিটি-সমাজ-রাষ্ট্র থেকে এদের পরিত্যাগ করি। আমরা এদের প্রতি পদে পদে প্রত্যাখান করতে চাই। এরা হচ্ছে সমাজের নোংরা জীব। এই জীবদের নোংরা জায়গায় থাকতে হবে। আমরা সবাই মিলে এদেরকে নর্দমায় নিক্ষেপ করতে চাই।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এই চারটি দানবের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ যখনই কোনো ন্যায্য কারণে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তারা প্রতিবারই বিজয়ী হয়েছে। এই চার ধরনের দানবের বিরুদ্ধেও আমাদের বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ সবাই মিলে বাস্তবায়ন করব। দেশকে মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত করব। চারটি দানবের বিরুদ্ধে যদি ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে দ্রুতই এই দেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিস্ময়কর। বিশ্ববাসী বলে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ম্যাজিক। সেই ম্যাজিকের ম্যাজিসিয়ান হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তার দেশে অবশ্যই মাদক-সন্ত্রাস থাকতে পারে না। তার নেতৃত্বে আমরা দুর্নীতিকে পরাজিত করব।
তিনি আরো বলেন, মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয় না। মিয়ানমার কোটি কোটি ইয়াবা তৈরি করে আমাদের দেশে পাঠায়। মিয়ানমারের লোক তো ইয়াবা খায় না। ভারতের সীমান্তে যেখানে ফেনসিডিলের কারখানা, সে অঞ্চলের লোক তো ফেনসিডিল খায় না। তাহলে আমরা কেন খাচ্ছি ? আমরা কেন আমাদের পরিবারকে-যুবসমাজকে ধ্বংস করছি ?
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বক্তব্য রাখেন- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, শামসুন নাহার ভূইয়া এমপি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আখতারউজ্জামান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্যাহ খান প্রমুখ।
মাদক ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশায় যাওয়ার জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করা ৩০ নারী-পুরুষকে ওই অনুষ্ঠানে সেলাই মেশিন, চাকরির কাগজপত্র ও মুদি ব্যবসার জন্য নগদ অর্থ দেয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।