জুমবাংলা ডেস্ক: ইউপি কার্যালয় নির্মাণের জন্য দান করেছিলেন ৩০ শতাংশ জমি। কিন্তু জালিয়াতি করে লিখে নেয়া হয় ১ একর। অবশিষ্ট জমি ফিরে পেতে মামলা হয় আদালতে। সবকয়টি রায় পক্ষে পেলেও জমির দখল পাননি লালমনিরহাটের আবু বক্কর সিদ্দিক। তাই এবার আত্মহত্যার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি।
লালমনিরহাটের আদিতমারীর বৃদ্ধ আবু বক্কর সিদ্দিক। ১৯৮০ সালে কমলাবাড়ী ইউপি কার্যালয় নির্মাণের জন্য দান করেন ৩০ শতাংশ জমি। তার দাবি, তখন জালিয়াতি করে লিখে নেয়া হয় ১ একর। অবশিষ্ট জমি ফেরত পেতে দুই হাজার সালে আদালতে মামলা করেন তিনি। রায় আসে তার পক্ষে। পরে জেলা প্রশাসক আপিল করলেও তা খারিজ করেন আদালত। কিন্তু রায় পেলেও জমির দখল বুঝে পাননি আবু বক্কর। পরে জমি বুঝে পেতে গত বছর আদালতে আবারো মামলা করেন ওই বৃদ্ধ।
আবু বক্কর সিদ্দিকি বলেন, ‘হাইকোর্টে আমরা রায় পাই, জেলা জজেও রায় পাই, তবে আমার বিচার কোনদিনও পাইনি। ২০ বছর চলছে বর্তমান। এ মামলা চালাতে চালাতে আমার সহায়-সম্পত্তি সমস্ত শেষ।’
সেই মামলাটি এক বছরেও নিষ্পত্তি নাওয়ায় ওই বৃদ্ধ এবার জেলা প্রশাসকের কাছে আত্মহত্যার অনুমতি চেয়েছেন।
আইনজীবী আবু আহাদ খন্দকার লেলিন বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা যারা জড়িত তাদের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে রায়ের সুফল পেতে বিলম্ব হওয়ায় উনি আজ আত্মহত্যার জন্য দরখাস্ত করেছেন।’
এদিকে, হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় দান করা ওই জমিতে ইউপি কার্যালয় নির্মাণের কথা থাকলেও পরে তা বানানো হয় কমলাবাড়ীতে। ফলে বিবাদমান জমি দখল করে গড়ে উঠেছে ৭০-৮০টি দোকানঘর।
আবু বকরের পরিবারের অভিযোগ, এই দখলদাররাই জমি ছাড়তে নারাজ। যদিও তা অস্বীকার করেছেন দোকানদাররা। তারা বলছেন, লিজ নিয়ে জমি ব্যবহার করছেন তারা।
বিচারাধীন থাকায় এ বিষয়ে কথা বলেননি জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তবে মামলা নিষ্পত্তি হলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তারা। লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধান বলেন, ‘এটা হলো আদালতে বিচারাধীন একটা বিষয় , তারপরেও আমরা বলছি, এই বিষয়টাতে মানবিক ব্যাপার তো আছেই। এবার মামলার নিষ্পত্তি হযে গেলে তার জন্য কিছু করা যায় কিনা আমরা বিবেচনা করবো।’
শিগগিরই জমির অধিকার ফিরে পাবেন আবু বক্কর সিদ্দিক, আশা এলাকাবাসীর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।