আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলার চেয়ে কোভিড মোকাবিলা করা সহজ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটস।
বিল গেটস বলেন, জলবায়ু সমস্যার সমাধান, মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিল গেটস জানান, ‘৫১ বিলিয়ন অথবা শূন্য’ জলবায়ু সম্পর্কে এই দুটি সংখ্যা সবার জানা দরকার। সম্প্রতি জলবায়ু বিষয়ে নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে বিল গেটসের। কীভাবে জলবায়ু বিপর্যয় এড়ানো যায়, বিশ্ব উষ্ণায়নের মোকাবিলার জন্য বইটিকে একটি গাইড বলা যায়।
৫১ বিলিয়ন হলো বিশ্ব প্রতি বছর সাধারণত যত টন গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ করে। আর শূন্য হলো এই নিঃসরণ কমানোর যে লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত।
গেটসের মূল লক্ষ্য হলো প্রযুক্তি কীভাবে আমাদের সেই যাত্রায় পৌঁছাতে সহায়তা করবে তার দিকে। বায়ু এবং সৌরের মতো নবায়নযোগ্য উৎসগুলো আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সহায়তা করতে পারে।
তবে এটি মোট নিঃসরণের ৩০ শতাংশেরও কম কমাতে সাহায্য করবে। বাকি ৭০ শতাংশ আসে নানা রকম শিল্পোৎপাদনের কারখানা থেকে। এই খাতগুলো ছাড়া এখন অবশ্য আমাদের উপায়ও নেই।
তিনি বলেন, স্টিল, সিমেন্ট, পরিবহন ব্যবস্থা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যে ৭০ ভাগ গ্যাস নির্গত করে তাও কমিয়ে আনতে হবে। আমাদের সে পথ নেই বলে মন্তব্য করে বিল গেটস বলেন, বেসরকারি খাতগুলোকেও আমাদের বলতে হবে, আমরা সবুজ পণ্য চাই।
তার লেখা বইটির বিষয়ে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গেটস বলেন, এই মুহূর্তে কার্বন ডাই–অক্সাইড নিঃসরণ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি যে ক্ষতি করছেন, তা দেখতে পাচ্ছেন না। সে কারণেই গেটস বলছেন, এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকারগুলোকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।
গেটস আরও বলেন, বেসরকারি খাতে যে আমরা সবুজ পণ্য ব্যবহার করব, সে রকম একটা সংকেতের প্রয়োজন। এর জন্য গবেষণা ও উন্নয়নে সরকারগুলোর বড় আকারের বিনিয়োগের প্রয়োজন। পাশাপাশি বাজারে নতুন পণ্য ও প্রযুক্তি বৃদ্ধির সুযোগ দেবে এই বিনিয়োগ, ফলে দাম কমাতে সহায়তা করবে বলেও মনে করেন গেটস।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।