নিজস্ব প্র্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিকরা।
দেশের অন্যতম প্রধান আবৃত্তি ও মনন চর্চার সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু স্মরণানুষ্ঠান ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ, নৌ-কমান্ডার এ. এইচ. এম. জিলানী চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এই দাবির কথা বলেন।
জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ, চট্টগ্রামের সহযোগিতায় ২৫ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি হলে অনুষ্ঠিত ‘শোক ও শ্রদ্ধা, হে পিতা’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক সংগঠক মফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারিদের যেমন বিচারের আওতায় আনতে হবে, তেমনি যারা সরাসরি যুক্ত ছিলো তাদেরও বিচার করতে হবে। তাহলেই এর পূর্ণাঙ্গ বিচার সম্পন্ন হবে।
উচ্চারক কর্তৃক সংবর্ধিত দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ১৫ আগষ্ট নির্মমতার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে যারা কলংকিত করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। কারণ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি।
অনুষ্ঠানের অতিথি আলোচক চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাÐ পৃথিবীর বিগত ইতিহাসে বিরল। একটি দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতিকে সেই দেশের মানুষের হাতে সপরিবারে হত্যার শিকার হতে হবে, এমন ঘঠনা সভ্যতার ইতিহাসে কোথাও ঘটেনি।
উচ্চারকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী ও সাংবাদিক ফারুক তাহের’র সভাপতিত্বে এবং উচ্চারক সদস্য ইকরা বিনতে বিল্লাহ ও রোকসানা আফরিন সিলভিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উচ্চারকের শুভানুধ্যায়ী পরিষদ সদস্য সাইদুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উচ্চারক শুভানুধ্যায়ী পরিষদ সদস্য লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী সজল চৌধুরী।
প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা আবৃত্তি করেন আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পী শৈশবের জলি চৌধুরী, দৃষ্টি, চট্টগ্রামের বনকুসুম বড়ুয়া, তারুণ্যের উচ্ছ¡াসের কারিশমা কবির ঐশী, স্বপ্নযাত্রীর ¯িœগ্ধা বড়–য়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চের আবদুল আউয়াল, উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের সুমী সেন, শামীমা ইয়াছমিন, শাহ হোসাইন, ফারিহা ফেরদৌস, তুলতুল চৌধুরী, উচ্চারক শিশু কুঞ্জের শিশুশিল্পী পড়শী বড়–য়া, অর্পিতা চৌধুরী, জারিন সুবাহ ও ফারাহ তাহের প্রকৃতি।
ফারুক তাহের নির্দেশিত বৃন্দ আবৃত্তি ‘মুজিবের রক্তজবা প্রাণ’ পরিবেশন করেন উচ্চারক এ এস এম এরফান, মৌসুমী চক্রবর্তী, শামীমা ইয়াছমিন, এ্যানি চৌধুরী ও রাকিব রায়হান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।