আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ‘দখলে থাকা’ ভূখণ্ড নিজেদের সংশোধিত মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে সেটি জাতিসংঘ ও গুগল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে নেপাল সরকার। শনিবার (১ আগস্ট) নেপালের এ পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে এসেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।
সম্প্রতি বিতর্কিত ভূখণ্ড ‘কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধাউরাকে’ অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র সংসদে পাস করে কেপি শর্মা অলির সরকার।
এ বিষয়ে নেপালের ভূমি ব্যবস্থাপনামন্ত্রী পদ্মা আরিয়াল বলেন, আমরা কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধাউরাকে সংযুক্ত করে সংশোধিত মানচিত্র খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে পাঠাচ্ছি।
পাশাপাশি ইংরেজিতে একটি বইও ছাপাতে চলেছে নেপাল সরকার। তাতেও থাকবে নেপালের সংশোধিত মানচিত্র।
গত জুনে মানচিত্র সংশোধন করার প্রস্তাব নেপালের সংসদে পাস হয়। এ মানচিত্রে বর্তমানে ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা তিনটি অংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নেপালের ২৭৫ আসনবিশিষ্ট সংসদের ২৫৮টি ভোটে ওই বিল পাস হয়।চলতি বছরের ৮ মে লিপুলেখ থেকে ধরচুলা পর্যন্ত সড়ক উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরপরই ভারতের সঙ্গে নতুন করে সীমান্ত বিরোধে জড়িয়ে পড়ে নেপাল।
১৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি খোলা সীমান্ত রয়েছে নেপাল ও ভারতের মধ্যে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা নিয়ে দুদেশের বিরোধ চলছে। বিরোধের কেন্দ্রে থাকা ভূখণ্ডের মধ্যে- কালাপানি, লিপুলেখ এবং সুস্তা অন্যতম। অনেক দিন ধরেই এ ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত ও নেপাল।
বর্তমান বিতর্কের কেন্দ্রে কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরা- এই তিনটি অংশই রয়েছে নেপালের উত্তর-পশ্চিমে। এর দক্ষিণে ভারতের কুমায়ুন এবং উত্তরে চীনের তিব্বত। এ ভূখণ্ডটি নেপাল, ভারত ও চীনের একটি সংযোগস্থল হওয়ায় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।