আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টিকে থাকার ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এর কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হলো জাপান, চীন, বাংলাদেশ ও ভারত। সম্প্রতি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ন্যাচার কমিউনিকেশনস-এ প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে যে পরিমাণ মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে এতদিন আশঙ্কা করা হতো বাস্তবে এ সংখ্যা তার প্রায় চারগুণ বেশি। ওই গবেষণায় বলা হয়, ধারণার চেয়েও দ্রুতগতিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে থাকায় ২০৫০ সাল নাগাদ প্রায় ৩০ কোটি মানুষ বন্যাকবলিত হবে।
ওই গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে গুতেরেস বলেন, এই মুহূর্তে যে গতিতে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে তার চেয়ে কম গতিতে তা মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার। জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো না গেলে বিশ্বের টিকে থাকা হুমকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেন তিনি। গুতেরেস বলেন, নাটকীয়ভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হলো দক্ষিণ এশিয়া, জাপান, চীন, বাংলাদেশ ও ভারত।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, সরকার, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, নাগরিক সমাজ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের মত অনুযায়ী, এই শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত গত তাপমাত্রা বৃদ্ধি এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ধরে রাখা সম্ভব করতে হলে ২০৫০ সাল নাগাদ আমাদের কার্বন নিরপেক্ষ হতে হবে আর পরবর্তী দশকের মধ্যে নিঃসরণ কমিয়ে আনতে হবে ৪৫ শতাংশ। এসব লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যাপক রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি বন্ধ করা দরকার। ভবিষ্যতে কয়লাভিত্তিক নতুন পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ করা দরকার’।
এর আগে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নতুন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশি শিশুদের কথা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এক কোটি ৯৪ লাখ শিশুর মধ্যে এক কোটি ২০ লাখ শিশু নদী ভাঙনের এলাকা কিংবা এর কাছাকাছি থাকে। ৪৫ লাখ শিশুর বসবাস উপকূলীয় এলাকায়, সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের হুমকিতে থাকতে হয় তাদের। তাছাড়া খরার ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ৩০ লাখ শিশু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।