আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঝগড়া চলতে চলতে ধারালো অস্ত্রের কোপে জামাইয়ের মাথা কেটে ফেলল শ্বশুর। তারপর সেই কাটা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। রোববার (৯ আগস্ট) এ অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার অন্নভরম থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে।
অন্নভরম থানার সার্কল ইনস্পেক্টর রামবাবু জানিয়েছেন, রোববার ঘটনাটি ঘটেছে ধারা জগন্নাধাপুরম গ্রামে। ওই গ্রামের পাল্লা সত্যনারায়ণ (৫৬) গলা কেটে খুন করেছে তার জামাই পম্পানাপোনিয়া লক্ষ্মণকে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার।
সত্যনারায়ণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সত্যনারায়ণের মেয়ে পাভানি ১০ মাস আগে আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছে। তারপর থেকে লক্ষ্মণ ও পাভানির দুই সন্তান সত্যনারায়ণের কাছেই থাকে। পাভানির বাৎসরিক পারলৌকিক ক্রিয়ার অনুষ্ঠানের লক্ষ্মণকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সত্যনারায়ণ। সেই উপলক্ষে ৮ আগস্ট জগন্নাধাপুরমে এসেছিলেন লক্ষ্মণ।
রামবাবু এক সংবাদ সংস্থাকে বলেন, রবিবার সত্যনারায়ণ লক্ষ্মণের দুই সন্তানকে তার সঙ্গে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না লক্ষ্মণ। সে সত্যনারায়নকে তার দ্বিতীয় বিয়ের ব্যবস্থা করতে বলে। লক্ষ্মণের দাবি ছিল, ‘সে বিয়ে করলে তার স্ত্রী ওই বাচ্চাদের দেখাশোনা করবে। কিন্তু এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সত্যনারায়ণ’।
এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে শুরু হয় তুমুল ঝগড়া। তখনই ধারালো অস্ত্রের কোপে লক্ষ্মণের মাথা কেটে দেয় সত্যনারায়ণ।
এই ঘটনার পর সত্যনারায়ণ নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।