
জুমবাংলা ডেস্ক : জাল অস্ট্রেলিয়ান রিলেটিভ স্পন্সর মাইগ্রেশন সাবক্লাস (৮৩৫) পার্মানেন্ট রেসিডেন্স ভিসা প্রদানকারী চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ঢাকা মেট্রো পূর্বের একটি টিম।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
ইমাম হোসেন বলেন, অস্ত্র মামলার আসামীগন দীর্ঘ দিন যাবৎ জাল অস্ট্রেলিয়ান রিলেটিভ স্পন্সর মাইগ্রেশন সাবক্লাস (৮৩৫) পার্মানেন্ট রেসিডেন্স ভিসা প্রস্তুত পূর্বক বাংলাদেশের নিরিহ লোকজনকে অস্ট্রেলিয়াতে পাঠানোর নাম করে প্রতারনার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।
খিলগাঁও থানার এক মামলার তদন্তকালে এমন তথ্য পায় সিআইডি। পরবর্তীতে গত ১১ সেপ্টেম্বর রামপুরা থানাধীন বনশ্রী এলাকা এবং শাজাহানপুর থানা এলাকা থেকে এই চক্রের ২ সদস্য মো. সাইমুন ইসলাম (২৬) ও মো. আশফাকুজ্জামান খন্দকারকে (২৬) গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রো পূর্বের একটি টিম।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের মূল হোতা উন্মে ফাতেমা রোজী (৩৫) যার অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট নম্বর পিএ ৯৭৪০৩১২ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রতারক (রোজী) দেশে থাকাকালিন অস্ত্র মামলার বাদী-এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম (৪৭), অ্যাডভোকেট (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট) কে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। উম্মে ফাতেমা রোজী বাদীকে অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশনের কনসালার জেনারেল ষষ হিসাবে মিথ্যা পরিচয় প্রদান করে। তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মোররিসন কর্তৃক বেস্ট প্রপার্টি বায়ার-২০২০ এওয়ার্ড প্রাপ্ত হন এবং এওয়ার্ডের ছবি বাদীকে পাঠান। এছাড়া (বিবাদী) নিজ অ্যাকাউন্টে ৮ হাজার কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার রয়েছে মর্মে জাল ব্যাংক স্টেটমেন্ট বাদীর ইমেইলে প্রেরণ করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন মিনিস্টার মি.এলেক্স হউকির সঙ্গে সু-সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে মর্মে জানান এবং বাদীকে অস্ট্রেলিয়ার পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি ভিসার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে প্রস্তাব দেয়।
বাদী তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে নিজে সহ তার পরিবারে আরো ৮ সদস্যকে অস্টেলিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করণে মূল হোতা (রেজী) দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্য ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা প্রেরণ করতে বললে বাদী দুটি একাউন্টে তা প্রেরণ করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, প্রতারক চক্রের মূলহোতার অন্যতম সহযোগী গ্রেফতাকৃত মো. সাইমুন ইসলাম ও মো. আশফাকুজ্জামান খন্দকার বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান অ্যাম্বাসির নিযুক্ত ভিএফএস গ্লোবাল বাংলাদেশ প্রা. লি. এর প্রতিনিধি মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়া অ্যাম্বাসির লোগো সহ ভিসা সংক্রান্ত সকল প্রকার কাগজ পত্রাদি সৃজন পূর্বক এই চক্রের মূল হোতা রোজীর ই-মেইলে প্রেরণ করে।
পরবর্তীতে সে সৃজনকৃত অস্ট্রেলিয়ান এ্যাম্বাসির জাল ডকুমেন্ট বাদীর ইমেইলে প্রেরণ করে বলেন, ভিএফএস গ্লোবাল বাংলাদেশ (প্রা.) লি. এ জমা দিতে বলে। অত্র মামলার বাদী ভিএফএস গ্লোবাল বাংলাদেশ প্রা. লি. অফিসে কাগজপত্র জমা দিতে গেলে ভিএফএস গ্লোবাল বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ জানান এ সকল কাগপত্র জাল।
গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে এই চক্রের মূল হোতাসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানান সিআইডির এ কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



