জুমবাংলা ডেস্ক: আবারও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় গাজীপুরের জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে চিরতরে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছেন দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা। আজ রবিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন নেতারা। বিশেষ করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিষয়ে কথা বলেন তাঁরা। সেখানে জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়টি সামনে আসে। তাঁরা বলেন, জাহাঙ্গীর আলমকে এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটূক্তি করার জন্য দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে ক্ষমা চাওয়ায় তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এখন তিনি আবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। শুধু তিনি নন, তাঁর মাকেও প্রার্থী করেছেন। নিজের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পরে মায়ের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেখানে দলের বিপক্ষে কথা বলছেন। এ জন্য তাঁকে দল থেকে চিরতরে বহিষ্কারের সুপারিশ করেন তাঁরা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি প্রথমে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উত্থাপন করেন। বারবার সিদ্ধান্ত অমান্য করায় তাঁকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেন তিনি। সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা এতে একমত হন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানাবেন। জাহাঙ্গীর আলম যাতে দলের কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হতে পারেন, সেই সিদ্ধান্ত হয়।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে। এখনই এ বৈঠক না হওয়ায় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে সম্পাদকমণ্ডলীর সুপারিশ পাঠানো হবে। বৈঠকের আগে জাহাঙ্গীরের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। পরে কার্যনির্বাহী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সম্পাদকমণ্ডলীর সুপারিশ দলীয় সভাপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমতউল্লা খান। সেখানে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন জাহাঙ্গীর আলম। একই সঙ্গে মা জাহেদা খাতুনকেও প্রার্থী করেন তিনি। ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে আপিলেও মনোনয়ন ফিরে পাননি।
এদিকে বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতাদের সিটি করপোরেশনের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ প্রচারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।